অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধির কারণে গত তিন মাসে বিশ্ব সেরা হয়েছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার। সোমবার (১২ অক্টোবর) এশিয়া ফ্রন্টিয়ার ক্যাপিটাল লিমিটেডের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর এ তিন মাসে পারফরম্যান্সে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের শেয়ারবাজার।
দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাবের আগেও নানা সংকটেই ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। আর কোভিড দুর্যোগে অব্যাহত দরপতনে বন্ধ রাখা হয় ৬৬ দিন। পরবর্তীতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগসহ বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের বেশকিছু পদক্ষেপে আবারো প্রাণ ফিরে পায় দেশের পুঁজিবাজার। যার ফলশ্রুতিতে জুলাই-সেপ্টম্বর এ তিন মাসে বিশ্বের শেয়ারবাজারে বিশ্ব সেরা পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ।
সোমবার এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে এশিয়া ফ্রন্টিয়ার ক্যাপিটাল লিমিটেড।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে এশিয়ার শেয়ারবাজারের উত্থান হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের সবচেয়ে বেশি ২৪ দশমিক ৪০ শতাংশ উত্থান হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান ১৯ দশমিক ৪০ এবং ১৭ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উত্থানের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনে হিসেবে উঠে এসেছে-বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের উত্থান হয়েছে দেশীয় বিনিয়োগকারীদের কারণে। বিদেশিদের নিট বিক্রির পরিমাণ বেশি হলেও দেশীয় বিনিয়োগকারীদের নিজস্ব বিনিয়োগ দিয়ে এ উত্থান হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে- আকর্ষণীয় মূল্য, সুদহার কম, করোনা পরবর্তী অর্থনীতি চালু এবং রফতানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহের বৃদ্ধি। বলা যায়, গত আগস্ট থেকেই সব ধরনের সূচকে ভালো অবস্থান, লেনদেন বৃদ্ধিসহ বিভিন্নভাবে আস্থাজনক অবস্থায় এগিয়ে যাচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ বিনিয়োগকারিদের মাঝেও।
এদিকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষস্থানটি দখল করেছে ভিয়েতনাম। লেনদেনে বাংলাদেশ রয়েছে তৃতীয় স্থানে। শেষ ১২ মাসে প্রতিদিন গড়ে ভিয়েতনামের শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে ১৯০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তানের শেয়ারবাজারে শেষ ১২ মাসে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার। আর বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয়েছে ৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
এর আগে গত আগস্টেও বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করেছিল। সে সময় দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভিয়েতনাম।