ওসি স্যারের নির্দেশে ফেনসিডিলগুলো আমার ট্রাঙ্কে রেখেছি

পাবনার ঈশ্বরদীতে এক পুলিশ সদস্যের ট্রাঙ্ক থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এ ঘটনায় অভিযুক্ত রেলওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল মো: নাইমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদীর পাকশীতে রেলওয়ে পুলিশের ব্যারাকে অবস্থানকালে নাইমের ট্রাঙ্ক থেকে ফেনসিডিলগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাকশী রেলওয়ে পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন।

এ ঘটনায় ওই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার পাবনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার একাধিক পুলিশ সদস্য জানান, গেলো বুধবার রাজশাহী থেকে ঢালারচর অভিমুখী ঢালার চর এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে ২৬৪ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা ফেনসিডিলের মধ্যে ২৫ বোতল ফেনসিডিল পুলিশের গাড়ি থেকে গোপনে সরিয়ে নিজের ট্রাঙ্কে রাখার সময় ঘটনাটি ব্যারাকে থাকা অন্য এক কনস্টেবলের চোখে পড়ে।

ঘটনাটি রেলওয়ে জেলা পাকশীর পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিনকে সঙ্গে সঙ্গে অবহিত করেন তিনি। ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ঘটনাটি তদন্ত করার নির্দেশ দেন তিনি। পরে গেলো বৃহস্পতিবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমসহ পুলিশ সদস্যরা ব্যারাকে গিয়ে কনস্টেবল নাইমের ট্রাঙ্ক থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে গ্রেপ্তার করে।

তবে গ্রেপ্তার হওয়া কনস্টেবল নাইম হোসেন পুলিশ সুপারের নিকট জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ওই ফেনসিডিল রেল থানার ওসি গোপাল কুমার দাস ও সেকেন্ড অফিসার রঞ্জন কুমার বিশ্বাসের নির্দেশে তিনি তার নিজস্ব ট্রাঙ্কের মধ্যে লুকিয়ে রাখেন।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ওসির ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে এবং সেকেন্ড অফিসার কল রিসিভ করেননি।

পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স। ফলে মাদক ব্যবসার সঙ্গে কোনও পুলিশ সদস্য জড়িত থাকলেও তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতভর কনস্টেবল নাইমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কিছু তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে পাবনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।