চক্রপূরণে করোনার কারণে স্থগিত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচগুলোতে পয়েন্ট ভাগাভাগির কথা ভাবছে আইসিসি। আর তা হলে বাংলাদেশের ঝুলিতে যোগ হবে ৮টি ম্যাচের পয়েন্ট। তবে সেক্ষেত্রে বিকল্প ভাবনাও আছে সংস্থাটির। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে আইসিসির পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়।
অথচ এই আসরকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল কতই-না। ম্যারম্যারে টেস্টকে আরও জমজমাট ও দর্শকপ্রিয় করতে নানা পরিকল্পনা, বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার। কিন্তু এক বেরসিক কোভিড, ভেস্তে দিল সব আয়োজন।
করোনাকালে স্থগিত হয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অনেক ম্যাচই। ফলে বিপাকে আইসিসি। সূচি অনুযায়ী এর ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল আগামী বছরের জুনে। তাইতো ব্যস্ত শিডিউলকে মাথায় রেখে এবার ভিন্ন পথে আগাতে চাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
চক্রপূরণে স্থগিত ম্যাচগুলোর পয়েন্ট ভাগাভাগির কথা ভাবছে তারা। হিসাব অনুযায়ী প্রত্যেক সিরিজের জন্য বরাদ্দ ১২০ পয়েন্ট। দুই ম্যাচের সিরিজের জন্য ম্যাচ প্রতি ৬০ আর তিন ম্যাচের ক্ষেত্রে পয়েন্ট ছিল ৪০ করে। আর ৫ টেস্টের ক্ষেত্রে ম্যাচ জয়ের জন্য ২৪ আর ড্রয়ের জন্য ছিল ১২ পয়েন্ট। তাইতো এই পয়েন্ট বণ্টনের নিয়েও দেখা দিয়েছে জটিলতা।
সেক্ষেত্রে স্থগিত হওয়া টেস্টে যত পয়েন্ট আছে তার তিনভাগের একভাগ, স্ব-স্ব দেশগুলোর মধ্যে বণ্টনের কথা ভাবছে আইসিসি। ফলে কপাল খুলতে পারে বাংলাদেশের।
এখন পর্যন্ত আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি সিরিজে অংশ নিয়ে তিনটিতেই হেরেছে টাইগাররা। কোনও পয়েন্ট সংগ্রহ না করে আছে টেবিলের তলানিকে। কোভিড-১৯ এর কারণে স্থগিত ৬ টেস্ট সিরিজের চারটিতেই আছে বাংলাদেশের নাম। ফলে ঝুলিতে যোগ হচ্ছে ১৩০ পয়েন্ট।
অবশ্য টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফলাফল নির্ধারণে আরও একটা বিকল্প ভাবনা আছে আইসিসির। আর তা হলো আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত সেসব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, হিসাব করা হবে সেগুলোর পয়েন্টই। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শুরু হবে আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২১/২৩ মৌসুম।