দেশে আইপিএল টার্গেটে চলছে অনলাইন ও মিনি ক্যাসিনো

চলমান ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) কে কেন্দ্র করে দেশে চলছে বিপুল অংকের জুয়া খেলা। যা মিনি ক্যাসিনো ও অনলাইন ক্যাসিনোর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। আজ রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় র‌্যাব-৪ এর প্রধান কার্যালয়ে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।

ঢাকার অদূরে আশুলিয়া থানার কাইচাবাড়ি এলাকায় মিনি ক্যাসিনো (জুয়ার আসর) থেকে ২১ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আইপিএলকে কেন্দ্র করে এক ধরনের ক্যাসিনো জুয়া খেলা চালু হয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে তৎপরতা চালাচ্ছি। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত তাদের আইনে আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ বিষয়ে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

র‌্যাবের অধিনায়ক মোজাম্মেল হক মিনি ক্যাসিনো থেকে ২১ জনকে গ্রেপ্তারেরে প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আশুলিয়ায় জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তারকৃত ২১ জন মাদকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জুয়াড়ি গ্রেপ্তারসহ অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব সদা সচেষ্ট। বিপদগামী তরুণ সমাজের মাঝে মাদকাসক্তি ও অপরাধ প্রবণতা নির্মূলের পাশাপাশি অবৈধ জুয়ার আসরের ক্ষতিকর প্রভাব রোধকল্পে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে জুয়ার আসর উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮ টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিছুর রহমানের উপস্থিতিতে এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজলের নেতৃত্বে র‌্যাব-৪ এর একটি দল আশুলিয়া থানাধীন কাইচাবাড়ি এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালায়। সেখানে মিনি ক্যাসিনো জুয়ার আসর থেকে প্লেয়িং কার্ডসহ ১ টি ক্যাসিনো বোর্ড, ১০০ পিস ইয়াবা, ১২ ক্যান বিদেশি বিয়ার, ২২ টি মোবাইল এবং নগদ ৩৮ হাজার টাকাসহ ২১ জন জুয়াড়িকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো: বিল্লাল (৩৮), মো: জুয়েল (২৮), মইদুল ইসলাম (৩২), সবুজ মিয়া (২৮), মো: শরিফ (২৮), মো: লিটন (৪৫), রবিউল মোল্ল্যা (২৪), আবু তালেব (২০), দিয়াজুল ইসলাম (২০), মো. শিপন (২০), আব্দুল আলিম (৩৫), আজাদুল ইসলাম (৫০), সোহেল মোল্ল্যা (৩২), আসাদুল ইসলাম (৩০), মো: এখলাছ (৩৫), মঈন মিয়া (২৮), মাসুদ রানা (২০), হাবিবুর রহমান (৪৭), রুবেল মিয়া (৩৩), ফজলে রাব্বি (২২) এবং রনি ভূঁইয়া (২৫)।

গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে এবং এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত জুয়া আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ক্যাসিনো বিরোধী এমন নজরদারি এবং সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক।