সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল বলেছেন, ইসলামের আদর্শ ব্যক্তি, সামাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অনুপস্থিত থাকার কারণে ধর্মীয় অবক্ষয় বাড়ছে এবং নারী ও শিশুরা ধর্ষণের-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আজকে যেভাবে অনাচার, ঘুষ দুর্নীতি বাড়ছে এগুলো সব কিছুই সৃষ্টি হয়েছে শুধুমাত্র ইসলাম ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অনুপস্থিতির কারণে। শনিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের ভোজন রেস্টুরেন্টে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এম এ আউয়াল বলেন, কোনো ধর্মেই বলে নাই ঘুষ খাও, নারী নির্যাতন করো, শিশু নির্যাতন করো। সকল ধর্ম মানবতার কথা বলেছে, ইসলামও মানবতা ও কল্যানের কথা বলেছে। ধর্মীয় চর্চা না থাকার কারণে সমাজে অনাচার, ব্যভিচার ও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারকে ধন্যবাদ জানাই, ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। তবুও মৃত্যুদণ্ডের আইন করার পরও কি এগুলো কমেছে? কমে নাই। কারণ পরিবারে, সমাজে ধর্মের যে চর্চা, ইসলামের যে মূল্যবোধ তা নেই। তাই সমাজে এসব বেড়েই চলছে। আমরা মনে করি ইসলামের যে মূল্যবোধ, চর্চা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করলে এসব দূর হবে। সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টানের গীতা, বাইবেল নিয়ে যদি কিছু হয়, সেটি কিন্তু তারা বলে না, অভিযুক্ত করে না। অথচ ইসলাম নিয়ে যদি কিছু বলা হয় তাহলে, বলে ইসলাম এটা করেছে-সেটা করেছে। ইসলামকে সব সময় প্রশ্নবিদ্ধ করে এরা সবাই। এটা কেনো? এটা প্রশ্চীমাদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত। ফ্রান্সে ইসলাম অবমাননা ও মোহাম্মাদ (সা:) এর ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শন নিয়ে এই রাজনীতিক বলেন, মোহাম্মাদ (সা:) তিনি শুধু মুসলমানদের নবী ছিলেন না, তিনি সবার নবী, আখেরি নবী, শেষ নবী। অথচ তারা তাঁকে নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র এঁকেছে। এটা নিয়ে সকল ধর্মের মানুষ এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট একটি বক্তব্য দিয়ে মুসলমানদের আঘাত করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি আমরা সরকারকে বলতে চাই, বাংলাদেশে ফ্রান্সের যে রাষ্ট্রদূত আছেন তাকে ডেকে অফিসিয়ালি সরকারি ভাবে আমাদের দেশের মানুষদের সেন্টিমেন্ট, আবেগ-অনুভূতির উপর যে আঘাত দেওয়া হয়েছে, সেটার প্রতিবাদ জানানোর জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। নিজের দল সম্পর্কে তিনি বলেন, ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে ইসলামী দল ক্ষমতায় থাকার কথা। বহু বিভক্তির কারণে আজকে সকলে ঐক্যবদ্ধ নয়। আমরা ইসলামী ৮ টি দলকে একত্রিত করে একটি দলে পরিণত করেছি। এজন্যই, যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্রে শক্তি মিলেই বৃহৎ শক্তি গড়ে তুলবো আমরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, দলটি মহাসচিব অ্যাড: নুরুল ইসলাম খান। তিনি নবী (সা:) এর আদর্শ, নীতি, জীবন বিধান, রণকৌশল, সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে হাদিসের আলোকে বর্ণনা করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ওমর ফারুক, মো: হাবিবুর রহমান সহ দলটির নেতা-কর্মীরা।