নিশাঙ্কার সেঞ্চুরিতে দশ বছর পর ইংল্যান্ডকে হারালো শ্রীলংকা

ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে দীর্ঘ দশ বছর পর টেস্ট ফরম্যাটে ইংল্যান্ডকে হারালো শ্রীলংকা। দ্য ওভালে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের চতুর্থ দিন শ্রীলংকা ৮ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। নিশাঙ্কা অপরাজিত ১২৭ রান করেন। ২০১৪ সালের জুনে লিডসে সর্বশেষ ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিলো লংকানরা। স্মরনীয় জয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশও এড়ালো শ্রীলংকা। প্রথম দুই টেস্ট জয়ে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতলো ইংল্যান্ড। 
দ্য ওভালে তৃতীয় দিন শেষে জয়ের সুবাতাস পাচ্ছিলো শ্রীলংকা। ইংল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ২১৯ রানের জবাবে দিন শেষে ১ উইকেটে ৯৪ রান করেছিলো লংকানরা। ৯ উইকেট হাতে নিয়ে আরও ১২৫ রান প্রয়োজন ছিলো সফরকারীদের। নিশাঙ্কা ৫৩ ও কুশল মেন্ডিস ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন। 
চতুর্থ দিনের পঞ্চম ওভারে সাজঘরে ফিরেন কুশল। ৯ রান যোগ করে ইংল্যান্ডের পেসার গাস অ্যাটকিনসনের শিকার হন তিনি। দলীয় ১০৮ রানে কুশল ফেরার পর অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজকে নিয়ে শ্রীলংকার রানের চাকা সচল রাখেন নিশাঙ্কা। ম্যাথুজের সাথে জুটি গড়ার পথে ১০৭ বল খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন নিশাঙ্কা। 
সেঞ্চুরির পর দ্রুত ম্যাচ শেষ করতে ইংল্যান্ডের বোলারদের উপর চড়াও হন নিশাঙ্কা। এতে প্রথম সেশনেই ম্যাচ জয়ের স্বাদ পায় শ্রীলংকা। ২৬ বছর পর ওভালের ভেন্যুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে জয় পেল শ্রীলংকা। ১৯৯৮ সালে সর্বশেষ ওভালের ভেন্যুতে ১০ উইকেটে ইংলিশদের হারিয়েছিলো লংকানরা। 
তৃতীয় উইকেটে ম্যাথুজের সাথে ১২৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ১১১ রানের জুটি গড়েন নিশাঙ্কা। ১৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ১২৪ বলে অপরাজিত ১২৭ রান করেন নিশাঙ্কা। ১১ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান নিশাঙ্কার। ৩টি চারে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাথুজ। ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস ও অ্যাটকিনসন ১টি করে উইকেট নেন। 
প্রথম ইনিংসে ৬৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৭ রানের সুবাদে ম্যাচ সেরা হন নিশাঙ্কা। ৩৭৫ রান ও ১ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন ইংল্যান্ডের জো রুট। 
সিরিজটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হওয়ায় ওভাল টেস্ট জয়ে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠলো শ্রীলংকা। ৭ টেস্টে ৪২.৮৬ শতাংশ পয়েন্ট আছে লংকানদের। ৪২.১৯ শংতাশ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠস্থানে নেমে গেল ইংল্যান্ড। ৪৫.৮৩ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে আছে বাংলাদেশ। টেবিলের প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।