চলতি বছর প্রাথমিকের পাঠ্যবই উৎসব না হলেও সময়মতো নতুন বইয়ের ঘ্রাণ পাবে শিক্ষার্থীরা। ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
জানা গেছে, চলতি বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ৩৬ কোটি নতুন বই প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেগুলো উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন। বই তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন সব প্রেসে । সেখান থেকে সরাসরি উপজেলা পর্যায়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এনসিটিবি-সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সোয়া চার কোটি শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় ৩৬ কোটি বই তৈরি করা হয়েছে। তবে, করোনার কারণে কাঁচামাল দেশে ঠিক সময়ে পৌঁছানো ও মুদ্রণ শ্রমিকদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা করছেন অনেকেই। এছাড়া, কম দরে মানসম্মত বই ছাপার সংশয়ও ছিল। এত কিছুর পরও ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছানোর সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে নতুন বই দিয়ে আসছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী বছরের জন্য মাধ্যমিক স্তরের সাড়ে ২৫ কোটি পুস্তক ও প্রাথমিক স্তরের ১০ কোটির কিছু বেশি বই প্রণয়ন করা হয়েছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এম মনছুরুল আলম বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য বই উপজেলা পর্যায়ে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিদিনের ডাটা আমি পাচ্ছি। আশা করি, ডিসেম্বরের মধ্যে সব বই প্রতিষ্ঠানে পৌঁছানো যাবে। তিনি বলেন, এই বছর বই উৎসব করা হবে কি না, তা নিয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি ঘোষণা দিয়েছেন। আমরাও এখন পর্যন্ত সে সিদ্ধান্তে আছি। তবে, প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে পুরো বিষয়টি।
এই বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, বই ডিসেম্বরের মধ্যে যেন উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছায়, সে প্রচেষ্টা রয়েছে। আশা করি, এর ব্যতিক্রম ঘটবে না। এনসিটিবি এটি পরিচালনা করছে।
জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ইতোমধ্যে বই পাঠানো শুরু হয়েছে। দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে পারে, সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।