ঢাকা, ২৪ আগস্ট, ২০২৩ (প্রভাত নিউজ) : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সমাবেশে জনগণের সম্মেলন ও অংশগ্রহণ ঘটেনি। এটি তাদের নেতাকর্মীদের আন্দোলন।
তিনি বলেন, “বিএনপির আন্দোলনে তাদের নেতারাই হতাশ। ক্ষমতায় আসার মূলা ঝুলিয়ে নেতাকর্মীদের জড়ো করেছিল। তাদের এসব সমাবেশে জনগণের সম্মেলন ঘটেনি, অংশগ্রহণ ঘটেনি। জনগণ ছাড়া গণআন্দোলন কেমন করে হবে?”
আজ বৃহস্পতিবার আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দেশে আন্দোলনের বস্তুগত কোন পরিস্থিতি বিরাজমান নেই। আন্দোলনের জন্য দুইটা বিষয় লাগে। একটা অবজেক্টিভ আরেকটা সাবজেক্টিক। তাদের (বিএনপি) অবজেক্টিভ কন্ডিশনও নেই, সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন নেই।
তিনি বলেন, একুশে আগস্টের হত্যাকান্ড একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড। বাংলাদেশে ‘৭৫ থেকে শুরু হওয়া হত্যাকান্ড, ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারাবাহিকতা চলে আসছে।
হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির মূল টার্গেট বঙ্গবন্ধু পরিবার এবং আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দােলর নেতৃত্ব ও পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকে শুরু করে ‘৭৫ এর ৩ নভেম্বর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এক সুতায় গাথা।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের ইতিহাস কত নির্মম। পার্লামেন্টে তৎকালীন সময়ে বিরোধী দলীয় নেত্রী যখন প্রসঙ্গটি তুলছিল, তখন বেগম জিয়া বলেছিলেন, উনাকে (শেখ হাসিনা) আবার কে মারতে যাবে? উনি তো ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছেন। একুশে আগস্ট ঘটনাকে নিয়ে এই উপহাস করেছিলেন তিনি। জজ মিয়ার নাটক আরো নির্মম। সেটা আরেক প্রহসন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। গণতন্ত্রের জন্য যারা আজকে মায়া কান্না করে তাদের রাজনীতি হচ্ছে ষড়যন্ত্র ও হত্যার। আজকে আমরা একটা কথা বলতে চাই ও দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই- এই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত, যারা গণতন্ত্রের নামে মায়া কান্না করছে তাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির সহাবস্থানের কোন সুযোগ আছে কি না?