ভারতের শুল্ক আরোপ, দেশে পেঁয়াজের ঝাঁজ শতকে

তবে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, তুলনামূলক কম বেড়েছে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ঘাটতি আছে, তাই দাম বেড়েছে।

আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৬০ টাকা ছাড়িয়েছে। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজের দাম প্রায় এক শ’ টাকা। বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে।

সোমবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, মহাখালী কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বছরের এ সময়ে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে আসার পাশাপাশি শুল্ক আরোপের ফলে এই পণ্যের দাম বেড়েছে।

রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, সপ্তাহখানেক হলো পেঁয়াজের দাম বাড়তি। কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৯০-৯৫ টাকায়। পরিমাণে বেশি নিলে বা পরিচিত ক্রেতা হলে একটু কমও রাখি।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, পেঁয়াজের ওপর বাড়তি শুল্ক এখনও কার্যকর হয়নি। তবে, তার আগেই হিলি পেঁয়াজ পয়েন্টে দাম বেড়ে গেছে। ফলে আমাদেরও বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।

মহাখালী কাঁচা বাজার এলাকার খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা বাজারে বিক্রি করি বলে সাধারণ মানুষ ভাবে আমরাই দাম বাড়াচ্ছি। কিন্তু না। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণেই রাতারাতি দাম বাড়ে যেকোনো পণ্যের।

হিলি স্থলবন্দর এলাকা থেকে পাঠানো তথ্যমতে, শনিবার যে পেঁয়াজের পাইকারি বাজার ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকা, সোমবার সেই পেঁয়াজ প্রকারভেদে পাইকারদের নিতে হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। এক দিনের ব্যবধানে বন্দর বাজারে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ১২ থেকে ১৫ টাকা বেশি দরে। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েন পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা।

গত শনিবার ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। আর এই ঘোষণার পরই দাম বাড়ে পেঁয়াজের।