মাহমুদউল্লাহ একাদশকে হারিয়ে ফাইনালের পথে শান্ত একাদশ

প্রথম লেগে সব দলই জিতেছে একটি করে ম্যাচ। তিন দলের আসরে সবারই পয়েন্ট ছিল সমান,  ২ করে। পয়েন্ট টেবিলের এমন অবস্থা নিয়ে দ্বিতীয় লেগের প্রথম ম্যাচ জিতে ফাইনালের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখল নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশ। শনিবার বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে মাহমুদউল্লাহ একাদশকে ১৩১ রানে হারিয়েছে তারা।

শান্ত একাদশ: ২৬৪/৮ (৫০ ওভার), মাহমুদউল্লাহ একাদশ: ১৩৩/১০ (৩১.১ ওভার)
ফলাফল: শান্ত একাদশ ১৩১ রানে জয়ী

২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দেড়শর আগেই গুটিয়ে যায় মাহমুদউল্লাহরা। ৩১.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে তারা তোলে ১৩৩ রান।

নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ২৮ রান। লিটন দাস করেন ২৭। বাকি ব্যাটমসম্যানরা ছিলেন একদমই বোতলবন্দী হয়ে।

বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও পেসার আবু জায়েদ রাহি নেন তিনটি করে উইকেট। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন নেন দুই উইকেট। একটি উইকেট নেন আল-আমিন হোসেন।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পেসারদের তোপে মাত্র ৩১ রানেই ৩ উইকেট হারায় শান্ত একাদশ। কঠিন অবস্থায় দলের হাল ধরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। মিরপুরের ২২ গজে লড়েন দুর্দান্ত।

সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন আফিফ। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে এ তরুণ করেন ১০৮ বলে ৯৮ রান। মাত্র ২ রানের জন্য হন সেঞ্চুরি বঞ্চিত।

১২ চার ও এক ছয়ের আফিফের অসাধারণ ইনিংসটি নাজমুল হোসেন শান্ত একদশকে এনে দেয় ২৬৪ লড়াকু পুঁজি। প্রেসিডেন্টস কাপে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

শুরুতেই দল ব্যাকফুটে চলে যাওয়ায় আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম খেলেন ধীরলয়ে। ১ রান জীবন পাওয়া এ ব্যাটসম্যান আউট হন ফিফটি পেরিয়ে। ৯২ বলে ৫২ রানের ইনিংসে চারের মার মোটে একটি।

আফিফ ও মুশফিক চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১৪৭ রান। তাতেই দলীয় আড়াইশর দিকে অগ্রসর হয়।

স্লগে ক্যামিও ইনিংস খেলেন ইরফান শুক্কুর। ২৮ বলে ৪৫ রান করে থাকেন অপরাজিত। এ বাঁহাতির ব্যাটে আসে ৪টি চার ও ২ ছক্কা। তৌহিদ হৃদয় ২৯ বলে দুই বাউন্ডারিতে করেন ২৭ রান।

শুরুর বিপর্যয়ের পরও ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান ‍তুলেছে শান্ত একাদশ।

রুবেল হোসেন নিয়েছেন তিন উইকট। ইবাদত হোসেন দুটি ও ‍সুমন খান নেন একটি উইকেট।

সোমবার তামিম ইকবাল একাদশের বিপক্ষে খেলবে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। বুধবার শেষ ম্যাচে শান্ত একাদশের প্রতিপক্ষ তামিম একাদশ। শুক্রবার টুর্নামেন্টের ফাইনাল।