রোহিঙ্গা নির্যাতন : আন্তর্জাতিক আদালতে মিসরের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) নেতৃস্থানীয় সদস্য দেশ হিসেবে মিসরকে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে গাম্বিয়াকে প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। আজ রোববার মিসরের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ওয়ালিদ আহমেদ সামসেলদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড: এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ অনুরোধ জানানো হয়।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ এনে ওআইসির পক্ষে গাম্বিয়া দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে গত বছরের ১১ নভেম্বর মামলা করে।

মিসরের রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে তাদের অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন।

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ ও মিসরের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং এ ক্ষেত্রে দুদেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্ব দেন ড: মোমেন। তিনি মিসরকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান

তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ বাংলাদেশিদের মিসর কাজে লাগাতে পারবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। ড: মোমেন রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে একটি পেট্রো কেমিক্যাল শিল্প স্থাপনের জন্য অনুরোধ করেন।

এ সময় মিসরের রাষ্ট্রদূত বলেন, সেই দেশের আলেকজান্দ্রিয়া অথনৈতিক অঞ্চলে বাংলাদেশের দুজন বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করেছেন। মিসরের পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।

বৈঠকে দুই দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে মিসর সফর করেছিলেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভ্রাতৃপ্রতীম দুই দেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। মিসরে বাংলাদেশি অনেক ছাত্রের লেখাপড়ার সুযোগ আছে। ঢাকায় আগামী ডি-৮ সম্মেলনে মিসরের রাষ্ট্রপতি অংশগ্রহণ করবেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশবাদ ব্যক্ত করেন।