মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়ানো হবে। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের অনলাইন, টেলিভিশিন, রেডিও পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। তাই নতুন করে আরও ছুটি বাড়াতে হবে। আগামী ২৯ অক্টোবর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়তে পারে, তবে কতদিন বাড়বে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দ্রুত এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে প্রাথমিকের সমাপনী, জেএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষাও।
বুধবার (২১ অক্টোবর) মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা হবে না জানিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও নির্ধারিত ছুটি থাকার কারণে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করা যায়, এমন সিলেবাস প্রণয়ন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। আগামী নভেম্বর থেকে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করা হবে। তার ভিত্তিতে মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হবে। আগামী জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীরা নতুন ক্লাসে ভর্তি হতে পারবে।
তবে মূল্যায়নে কোনো শিক্ষার্থীর যদি বিশেষ দুর্বলতা থেকে থাকে, সেটি পরবর্তী ক্লাসে বিশেষ বিবেচনায় রাখা হবে। এবং তার দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন শ্রেণি শিক্ষকরা। সে বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেয়া থাকবে।