সাকিবের প্রত্যাবর্তনে উচ্ছ্বসিত সতীর্থরা

আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় এক বছর ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন সাকিব আল হাসান। এই এক বছর দেশসেরা ক্রিকেটারের অপেক্ষায় ছিলেন তাঁর সতীর্থরা। তাঁদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) থেকে নিষেধাজ্ঞামুক্ত সাকিব। প্রিয় সতীর্থের প্রত্যাবর্তনে বেশ উচ্ছ্বসিত মুশফিক, তাসকিন, সাইফউদ্দিনরা।

গতকাল বুধবার রাত থেকেই শুরু হয় ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস। সাকিবকে নিয়ে তাঁদের স্বাগত বার্তায় ছেয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। কেউ আবার সাকিবকে নিয়ে আবেগের স্মৃতিও তুলে ধরেন।

সাকিবকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ শেয়ার করে মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, আমরা একসঙ্গে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। গত বছর যখন জানলাম, এক বছর ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করতে পারব না, তখন হতবুদ্ধি হয়ে পড়েছিলাম। অনেক অসাধারণ কিছু স্মৃতির সাক্ষী আমরা। আবার একসঙ্গে মাঠে নামব। সব সময় তুমি চ্যাম্পিয়নের মতোই প্রত্যাবর্তন করেছ। এবারও আমি তোমার সঙ্গে আরো ম্যাচ জেতানো পার্টনারশিপ গড়ে দেশকে খুশি করতে চাই ইনশাআল্লাহ।

রেস্তোরাঁয় সাকিবের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে আঞ্চলিক ভাষায় ইমরুল কায়েস লিখেছেন, এবার আইয়া পড়ো।

তাসকিন আহমেদ লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, সাকিব ভাই ফিরেছেন। লিটন দাস লিখেছেন, স্বাগতম কিংবদন্তি। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত লিখেছেন, রাজা ফিরেছেন।

নিজের প্রথম ওয়ানডে সিরিজের সময় সাকিবের সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন লিখেছেন, এটা আমার প্রথম ওয়ানডে সিরিজের তোলা ছবি, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। ছোটবেলা থেকে উনার খেলা দেখে বড় হয়েছি এবং একপ্রকার আর পাঁচটা দর্শকের মতো আমিও উনার বিশাল ফ্যান। ইনশাআল্লাহ যদি কখনো টেস্ট অভিষেক হওয়ার সুযোগ হয় আমার ইচ্ছা আছে উনার কাছ থেকেই টেস্ট ক্যাপটা নেওয়ার। সুস্থভাবে নিরাপদে দেশে ফিরে আসেন ভাই। আবার মাঠের মানুষ মাঠে দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

এ ছাড়া সাকিবকে নিয়ে পোস্ট করেছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি, সাব্বির রহমান, নুরুল হাসান সোহান, মুস্তাফিজুর রহমান, নাইম হাসান, সৌম্য সরকার, সুমন খানসহ অনেক ক্রিকেটার।

বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বড় ধাক্কাই দিয়েছিল গত বছরের ২৯ অক্টোবর। ২৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে হঠাৎ গুঞ্জন ওঠে, নিষিদ্ধ হতে পারেন দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব। এই খবরে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো দেশের ক্রিকেট। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সন্ধ্যা নামতেই সেই গুঞ্জন সত্যিতে রূপ নেয়। জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন সাকিব।

সাকিবকে ফাঁসানোর পেছনে ছিলেন দীপক আগারওয়াল নামের একজন ভারতীয় জুয়াড়ি। মোট তিনটি অভিযোগ এনে সাকিবকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি। তবে ভুল স্বীকার করায় এক বছরের শাস্তি কমানো হয়।