২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, তবুও আনন্দে বাড়ি ফিরছেন জেলেরা

গত কয়েক মাসে প্রচুর ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়েছে। আর লাভের পরিমাণও বেশি। তাই মাছ শিকারে ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নৌকা সাজিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেই নিজ নিজ বাড়ি ফিরছে তারা।

আজ মঙ্গলবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশার মেঘনা নদীর তীরের মাছঘাটে গেলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। মূলত এরা সবাই জেলার বাহির থেকে ভোলার নদীতে আসে ইলিশ মাছ ধরার জন্য। তাই এভাবে তারা নিজ নিজ নৌকা সাজিয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে করতে বাড়ি যাচ্ছে। নৌকাকে দৃষ্টিনন্দন করে সাজিয়ে নদী থেকে যাওয়ার দৃশ্য অনেকেরই নজর কেড়েছে।

এভাবে নৌকা সাজিয়ে বাড়ি ফেরার কারণ জানিয়ে জেলে মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমার বাড়ি মাদারীপুরে। প্রতি বছর আসি এখানে ইলিশ মাছ শিকারে। সরকার ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে, তাই নিজ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি। প্রথমদিকে ইলিশ পাওয়া না গেলেও শেষের দিকে প্রচুর ইলিশ জালে ধরা পড়েছে। আর আজকে যে মাছ পেয়েছি, তাই নিয়ে আনন্দ করেই বাড়ি যাচ্ছি। আমরাও তো মানুষ, আনন্দ করতে ইচ্ছে তো করেই।

একই ধরনের কথা বললেন জেলে মোঃ আল-আমিন। তিনি বলেন, আমি চাঁদপুর থেকে এসেছি। আজ চলে যাচ্ছি। কারণ আজ রাত ১২টার পর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চলবে। তাই সব ধরনের মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্ষয়, পরিবহন ও মজুদকে নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। তাই ঝামেলা এড়াতেই আগেই যাচ্ছি।

ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে প্রচুর সোনালি ইলিশের দেখা মিলেছে। ইলিশে সয়লাব জেলার ছোট বড় শতাধিক মাছঘাট। আর তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিন রাত ইলিশ ধরা আর মোকামে চালান করা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মেলায় জেলেদের মধ্যে খুশির আমেজ।

ভোলার মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম জানান, বর্তমানে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে ইলিশের উৎপাদনের যে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অর্জন করা সম্ভব হবে। এ বছর ভোলা জেলায় ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন। মৌসুমের প্রথম তিন মাসেই ধরা পড়েছে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ।