শোবিজের আলোচিত নাম শাহ হুমায়রা সুবাহ। ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে প্রেম-বিচ্ছেদের ঘটনার পর ফেসবুক লাইভে এসে রাতারাতি পরিচিতি পান তিনি। তবে সেই দুঃখ ভুলে নতুনভাবে জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে বেশ কিছু নাটক, সিনেমায় অভিনয় করেছেন সুবাহ।
গত বছরের শেষের দিকে সুবাহকে বিয়ে করেছিলেন দেশের সুপরিচিত গায়ক ইলিয়াস হোসাইন। তাদের দাম্পত্য জীবনের এক মাস অতিক্রম না হতেই বেঁজে ওঠে ভাঙনের সুর। এরপর ইলিয়াসের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনেন সুবাহ। এমনকি এই গায়কের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও করেন তিনি। এরপর সুবাহর বিরুদ্ধেও পাল্টা মামলা করেন ইলিয়াস। তাদের দাম্পত্য কলহ এখন চরম আকার ধারণ করেছে। দুজনের লড়াই এখন আদালতে।
এখানেই শেষ না, ইলিয়াস-সুবহার খবরের মাঝে নতুন খবর বেরিয়ে এলো। জানা গেছে, সুবাহার আরও এক স্বামীর কথা! বিয়ের কাবিন নামা হাতে না আসলেও বিয়ের বিষয়টি অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সুবাহার নিজের দায়ের করা ২০১৭ সালে গাইবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ পত্র থেকে।
অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালে গাইবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ পত্রের সূত্র ধরে এই বিয়ের গুঞ্জন। সেখানে পর্নগ্রাফি আইনে সুবাহ একটি অভিযোগ করেন। পুরো অভিযোগ থেকে জানা যায়, তাকে ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক করে তা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে রাখা হয়। পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইল করা হতে থাকে। সেখানে সাক্ষী হিসেবে তার স্বামীর নাম লেখা ছিল মো. ইয়াসির আরাফাত।
এ প্রসঙ্গে সুবাহ বলেন, এগুলো ভিত্তিহীন কথা। যদি বিয়েই করে থাকি তাহলে কাবিন দেখাক। স্বামী হাজির করুক। আমি তো সংসার করতেই চেয়েছিলাম। কিন্তু ওর মনে ছিল অন্য কিছু। ইলিয়াসের অনেকগুলো বউ রয়েছে। ওর (ইলিয়াস) এত বিয়ে সামনে আসায় একটু বিপাকে পড়েছে মনে হয়। যার কারণে এসব ভুয়া কথা ছড়াচ্ছে।
ইলিয়াস বলেন, আমি প্রথমেই বলেছি আমাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়নি। আমাকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছে। সুবাহ আমার নামে যেসব তথ্য প্রকাশ করছে তা সবই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সে আগেও অনেককে আমার মতো করেই ফাঁসিয়েছে। তার আগের বিয়ের খবর শুনলাম। এসব কথা সে গোপন রেখেছিল। আমি আর তার সঙ্গে সংসার করতে চাই না। সেজন্য আইনি সহায়তা নিয়েছি। আইন কি সিদ্ধান্ত দেবে সেই অপেক্ষায়।
প্রভাতনিউজ/এনজে