পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড: একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ও কিছু এনজিওদের চাপে ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর বিলম্বিত হচ্ছে। এখন তারা যেখানে রয়েছে সেখানে তারা শুধু বসে খাচ্ছে আর বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু তারা ভাসানচরে গেলে আর কোথাও ফিরতে চাইবে না। সেখানে তারা কাজকর্ম করে আর্থিকভাবে লাভোবান হবে।
আজ রোববার (১৫ নভেম্বর) রাজশাহী কলেজের মিলনায়তনে শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেছেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমেরিকা আমাদের কাছ থেকে যে জিনিসগুলো নেয় তাতে ১৫.৬ শতাংশ ট্যারিফ দিতে হয়। আর আমেরিকা ফ্রান্স থেকে যে জিনিস কিনে তার ট্যারিফ মাত্র ০.৫ শতাংশ। অর্থাৎ আমাদের ফ্রান্সের চেয়ে ৩৩ গুণ বেশি শুল্ক দিতে হয়। আমেরিকার নতুন সরকারের কাছে পণ্য রপ্তানিতে আমেরিকার নতুন সরকারের কাছে ট্যারিফ কমানোর দাবি থাকবে বলে জানান তিনি।
এর আগে মন্ত্রী জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে রাজশাহীর বরেন্দ্র জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এরপর রাজশাহী কলেজের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। পরে ক্যাম্পাসে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন এবং কলেজ অধ্যক্ষ মুহা. হবিবুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে একটি গাছের চারা রোপন করেন। সবশেষে শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।