কাপ্তান বাজার হতে বরাদ্দবিহীন সকল অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ; এডিসের লার্ভা পাওয়ায় সোয়া লক্ষ টাকা জরিমানা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলোর ধারাবাহিক নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে আজ (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দিনের মত রাজধানীর কাপ্তান বাজার এলাকায় বরাদ্দবিহীন অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ এবং মালিবাগ ও ডেমরায় মশার প্রজননস্থল চিহ্নিতকরণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আজ ২য় দিনের মত দুপুর হতে কাপ্তান বাজার মার্কেটের ভবন-২ এ অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করেন। মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সময় বরাদ্দবিহীন আরও ৭৯ অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করে ৭৯ দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়(গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় অভিযান শেষ করার সময় মোট ৭০ জন বরাদ্দবিহীন অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল।

অভিযান প্রসঙ্গে ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, কাপ্তান বাজার মার্কেটের ভবন-২ এ গতকাল হতে বরাদ্দবিহীন অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ কার্যক্রম আমরা শুরু করেছি। সে কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আজ দ্বিতীয় দিনেও আমরা গতকালের বাকি থাকা ৭৯ জন বরাদ্দবিহীন অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে কাপ্তান বাজার মার্কেটের ভবন-এ বরাদ্দবিহীন ১৪৯ জন অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।

ডিএসসিসির মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনার আলোকে আমরা আজ কাপ্তান বাজার মার্কেটের ভবন-২ এ বরাদ্দবিহীন অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদ করে সেখানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে বরাদ্দবিহীন সকল অবৈধ দখলদারদের আমরা উচ্ছেদ করব।

এদিকে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আজ নগরীর ১২ নম্বর ও ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কাজী ফয়সালের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত অঞ্চল-১ এর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ৩২টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলা দায়ের ও নগদ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

একই সাথে ডিএসএসসি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ অঞ্চল-৮ এর ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ টাউন সাইন বোর্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ৩৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলা দায়ের ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌস ওয়াহিদ এ সময় ৭টি স্থাপনায় মশার বংশ বিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়ায় স্থাপনা মালিকদেরকে দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোর জন্য সতর্ক করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কাজী ফয়সাল ও ও ফেরদৌস ওয়াহিদ উভয়েই দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ নং ধারা অনুযায়ী উক্ত জরিমানা আদায় করেন। সব মিলিয়ে তিন ভ্রাম্যমাণ আদালত ৫ মামলা দায়ের, নগদ ১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।