ড্র করে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম পয়েন্ট পেল টাইগাররা

টাইগাররা

শেষ পর্যন্ত ড্র-ই হলো বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। আর তাতেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম পয়েন্ট পেল টাইগাররা। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৫৪১ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেটে ৬৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। ১০৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ১০০ রান করার পর শুরু হয় বৃষ্টি। এরপর আর মাঠে নামা হয়নি। দুদলের সম্মতিতে ড্র ঘোষণা করা হয়।

শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস শেষে ১০৭ রানে পিছিয়ে ছিল সফররত বাংলাদেশ। পঞ্চম দিনের খেলায় নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১ রান করে শুরুতেই লঙ্কান পেসার সুরাঙ্গা লাকমলের বলে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাইফ হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে রানের দেখা পাননি আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত।

খেলার এই অবস্থায় হারের শঙ্কায় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দলের ড্যাশিং ওপেনারের অনেকটা ওয়ানডে ধাচের খেলা এবং অধিনায়ক মুমিনুল হকের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শঙ্কায় কাটিয়ে উঠে রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। এদিকে তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩০তম টেস্ট হাফ-সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৭৪ রানে। আর অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ২৩ রানে।

এর আগে বুধবার টস জিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে টাইগার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুমিনুল হক সৌরভ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। আউট হওয়ার পূর্বে ৩৭৮ বলে ১৬৩ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন শান্ত। তার খেলা ইনিংসটি ১৭টি চার এবং ১টি ছয়ে সাজানো। আর ১২৭ রানে আউট হন মুমিনুল। তার ৩০৪ বলে খেলা ইনিংসটি ১১টি চারে সাজানো।

এছাড়া ৯০ রান করেন তামিম, লিটন ৫০ এবং ৬৮ রানে মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন ওসাদা ফার্নান্দো।

আরও পড়ুন…ফের মুশফিককে টপকে শীর্ষে তামিম

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৫৪১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় অধিনায়ক এবং ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। তাসকিনের বলে আউট হওয়ার পূর্বে ৪৩৭ বলে ২৪৪ রান করেন লঙ্কান দলনেতা। এছাড়া সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ধনঞ্চয়া ডি সিলভা। আউট হওয়ার পূর্বে করেন ২৯১ বলে ১৬৬ রান করেন। এছাড়া ৫৮ রান করেন ওপেনার লাহিরু থিরিমান্নে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। তাইজুল দুটি, মেহেদি হাসান মিরাজ ও এবাদত হোসেন নেন একটি করে উইকেট।