ঢাকায় জনসংখ্যা বাড়লে আসন বাড়তে পারে : ইসি

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, জনসংখ্যার প্রতিবেদন পেলে সীমানা পুনর্নির্ধারণ হবে। সেই সঙ্গে ঢাকার জনসংখ্যা বাড়লে জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা বাড়তে পারে, আবার জনসংখ্যা আগের চেয়ে কমলে আসন সংখ্যাও কমতে পারে বলে জানান তিনি। আজ নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, জনসংখ্যার প্রতিবেদন পেলে সীমানা পুনর্নির্ধারণ হবে। ঘরোয়া কাজ শুরু করে দিয়েছি। বর্তমানে ডাটা সংগ্রহ করছি, কোথায় কয়টা আসন, কত ভোটার সংখ্যা ইত্যাদি। পরিসংখ্যান ব্যুরো চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে, তারা একটা প্রতিবেদন দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও জেলা ভিত্তিক দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা জেলা ভিত্তিক প্রতিবেদন দিয়েছে।

তিনি বলেন, আইনে বলা আছে প্রশাসনিক খণ্ডতাকে প্রাধান্য দিতে হবে। এরপর জনসংখ্যার বিষয়টি আনতে হবে। তবে কোথাও কোথাও জনসংখ্যার বিষয়টি বিবেচনায় আসতে পারে। তথ্য সংগ্রহ করছি। বিশ্লেষণ এখনো শুরু হয়নি। জনসংখ্যাটা যেটা দেখেছি তাতে প্রতি আসনে ৫ লাখ ৫০ হাজার হয়। এতে খুব একটা পরিবর্তন হয় না। হয়তো হলেও দুই একটাতে পরিবর্তন করতে হবে। কোনে জায়গায় লাগবে পরীক্ষা করে এখনো দেখিনি। নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, বর্তমানে ঢাকায় ২০টা আসন রয়েছে। জনসংখ্যা বেড়ে গেলে বাড়বে। কমলে কমবে। তবে রিঅ্যারেঞ্জমেন্ট খুব একটা হবে বলে মনে হয় না।

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংসদীয় আসনের সীমানায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছিলেন। সেসময় ২৫টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন করা হয়েছিল। আসনগুলো হলো- নীলফামারী- ৩ ও ৪, রংপুর- ১ ও ৩, কুড়িগ্রাম- ৩ ও ৪. সিরাজগঞ্জ- ১ ও ২, খুলনা- ৩ ও ৪, জামালপুর- ৪ ও ৫, নারায়ণগঞ্জ- ৪ ও ৫, সিলেট- ২ ও ৩, মৌলভীবাজার- ২ ও ৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৫ ও ৬, কুমিল্লা- ৬, ৯ ও ১০ এবং নোয়াখালী- ৪ ও ৫।