দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আট দফায় অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার রাজ্যের চার জেলায় মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হয়। এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মোট ৮০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আনন্দবাজার।

বৃহস্পতিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ৩০টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরে ৮১ দশমিক ২৩ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭৮ দশমিক ০৫ শতাংশ, বাঁকুড়ায় ৮২ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

তবে সব আসনকে ছাপিয়ে এ পর্বে সবার নজর হাই-ভোল্টেজ আসন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির পালাবদলের আঁতুড়ঘর এ নন্দীগ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ও তারই একসময়ের বিশ্বস্ত ‘সেনাপতি’ বর্তমান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তবে পূর্ব মেদিনীপুরের ওই আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যে এক বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এছাড়া কেশপুর, ডেবরা, সবং এবং দাসপুরের মতো জায়গাতেও বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে।

পূর্ব মেদিনীপুরে কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত উত্তেজনা ছড়ালেও বৃহস্পতিবার ওই জেলার বিভিন্ন বুথে ভোটারদের লাইনে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, বিকেল ৫টা পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ভোট পড়েছে ৮০ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

এছাড়া, চণ্ডীপুরে ৮১ দশমিক ১৫ শতাংশ, হলদিয়ায় ৮০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, মহিষাদলে ৮১ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ময়নায় ৮১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নন্দকুমারে ৮২ দশমিক ৩৬ শতাংশ, পাশকুঁড়া পশ্চিমে ৮১ দশমিক ৬৭ শতাংশ, পাশকুঁড়া পূর্বে ৮০ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং তমলুকে ৮০ দশমিক ২৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের উল্লেখযোগ্য আসনগুলোর মধ্যে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ডেবরায় ৮৩ দশমিক ১০ শতাংশ, ঘাটালে ৭৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, খড়গপুর সদরে ৬৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং সবংয়ে ৮১ দশমিক ২৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।

এর আগে রেকর্ড সংখ্যায় ভোটদান করতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মোদি ও অমিত দুজনেই টুইট করেন বাংলায়। প্রথম দফার ভোটের দিনও অবশ্য একইভাবে টুইট করে পশ্চিমবাংলার জনগণের কাছে রেকর্ড হারে ভোটদানের আহ্বান জানিয়েছিলেন তারা।