রায়হান হত্যা: কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস আটক

সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে আটক করেছে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) পিবিআই। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে এসএমপি রিজার্ভ অফিস থেকে তাকে আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআইর প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।

গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪) নামের এক যুবক। পরে রোববার সকালে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় ওইদিন দিবাগত রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

১১ অক্টোবর এসএমপির উপকমিশনার (ডিসি-উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। অন্য তিনজন হলেন- কনস্টেবল হারুনুর রশীদ, কনস্টেবল তৌহিদ মিয়া ও কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস। চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ছাড়া রায়হানকে ধরে ফাঁড়িতে আনার জন্য বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয় এএসআই আশেক এলাহী, কুতুব আলী, কনস্টেবল সজীব হোসেনকে। এসআই আকবর হোসেন পালিয়ে গেলেও বাকি ছয়জন পুলিশলাইনে কড়া নিরাপত্তা হেফাজতে ছিলেন। তাদের মধ্যে থেকে আজ কনস্টেবল টিটুকে আটক করা হয়।