সুবিধা দিতে বাড়িতে ডেকে কিশোরীকে স্কুল কমিটির সভাপতির ধর্ষণ

পঞ্চম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মাসুদ মোল্লা (৪০) নামের ওই ব্যক্তিকে আদালতে সোপর্দ করে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ। 

তিনি উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের সুজনকাঠী মজিদবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি। মাসুদ মোল্লা উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের পূর্ব সুজনকাঠী গ্রামের মৃত মোছলেম আলী মোল্লার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, মাসুদ মোল্লা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। পদ-পদবি না থাকলেও নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে চলেন। 

আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাজহারুল ইসলাম জানান, মাসুদ মোল্লা ও নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীর বাড়ি পাশাপাশি। ওই ছাত্রী সুজনকাঠী মজিদবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ছাত্রীর পরিবার অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল, এজন্য কয়েকদিন আগে মাসুদ মোল্লাকে ওই ছাত্রী তার মায়ের নামে একটি সরকারি রেশন কার্ড করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করে। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে মাসুদ মোল্লা ওই ছাত্রীকে তার বাড়িতে আসতে বলেন মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি নিয়ে। রাতে ওই ছাত্রী তার মায়ের সঙ্গে মাসুদ মোল্লার বাড়িতে যায়। কথাবার্তা শেষে ওই ছাত্রীর সঙ্গে আলাদা কথা বলার জন্য তার শোয়ার কক্ষে নিয়ে যান মাসুদ মোল্লা। এরপর সেখানে নিয়ে দরজা আটকে দেন। পরে রেশন কার্ড করে দেয়ার প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। লজ্জা ও মাসুদ মোল্লার হুমকির কারণে ওই ছাত্রী বিষয়টি গোপন রাখে। রাতে ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না জানালেও পরদিন শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) ধর্ষণের ঘটনা তার মাকে খুলে বলে। 

মাসুদ মোল্লা তার এক ছেলে নিয়ে বাড়িতে থাকেলেও তার স্ত্রী আছেন ইতালি। 

আগৈলঝাড়া থানার এস আই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করলে ওই রাতেই অভিযুক্ত মাসুদ মোল্লাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ মোল্লাকে সোমবার বরিশাল আদালতে প্রেরণ করা হয়।