সৌদি প্রবাসিদের যাওয়ার সুবিধার্থের জন্য ফ্লাইটের আসন বৃদ্ধি

করোনাভাইরাসজনিত মহামারির কারণে বাংলাদেশে আটকেপড়া বিপুল সৌদি আরব প্রবাসীর জন্য সে দেশে যাওয়ার সুবিধার্থে ফ্লাইটের আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উড়োজাহাজে আসন সংখ্যা বেশি থাকলেও কোভিড-১৯-এর কারণে ঢাকা থেকে সৌদি আরবে গমনকারী উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে প্রশস্ত উড়োজাহাজে ২৬০ জন এবং অপ্রশস্ত উড়োজাহাজে ১৪০ জন যাত্রী পরিবহন করার বাধ্যবাধকতা ছিল।

এ বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সৌদি আরবগামী যাত্রীদের ঢাকা থেকে দ্রুত ফেরত যাওয়ার স্বার্থে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ গতকাল রোববার জারি করা আদেশে আগামী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত এ নিয়ম শিথিল করেছে। এখন সৌদি আরবগামী ফ্লাইটে ইকোনমি ক্লাসের শেষ সারি এবং বিজনেস ক্লাসের একটি আসন ছাড়া সব আসনে যাত্রী পরিবহন করা যাবে।

আশা করা যাচ্ছে, এতে সৌদি আরবগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সে দেশে ফেরত যাওয়ার অনুমতিপ্রাপ্ত যাত্রীদের পরিবহনে অনিশ্চয়তা অনেকাংশেই দূর হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পুরাতন টিকেটধারী যাত্রীদের ধারাবাহিকভাবে কোনোরকম চার্জ ব্যতীত আসন বরাদ্দ করছে।

এ ছাড়া যাত্রী ব্যতীত অন্য সবাইকে এয়ারলাইনস অফিসে না যাওয়ার কিংবা ভিড় না করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ বিনীত অনুরোধ এবং সবার সহযোগিতা কামনা করেছে।

সৌদিপ্রবাসীদের সে দেশ ফেরত যাওয়ার জন্য বেশ কয়েক দিন ধরে টিকেট দিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সৌদি এয়ারলাইনস।

তবে এয়ারলাইনস দুটির অফিসে প্রায়ই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল রোববার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে টিকেট বিক্রি ও টোকেন দেওয়া সাময়িক বন্ধ করে দেয় ঢাকার সৌদি এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ। এরপর গতকাল সকালে ভিড় নিয়ন্ত্রণে কারওয়ান বাজারে সৌদি এয়ারলাইনসের অফিসের সামনে কিছু প্রবাসীকে লাঠিপেটা করে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রোববার ভোরে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি সৌদি এয়ারলাইনসের কার্যালয়ের সামনে আসে। কার্যালয়ের ফটক খোলার সঙ্গে সঙ্গে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী ভিড় শুরু করেন। পরে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে।

হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ বলেন, বিশৃঙ্খলা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।

ওসি আবদুর রশিদ আরো বলেন, টিকেট বিক্রয় এবং টোকেন বিতরণ কিছু সময়ের জন্য স্থগিত ছিল। পরে গতকাল বিকেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আবার টিকেট বিক্রি শুরু করে।