অনলাইনে দামি পণ্য কিনে জাল টাকার নোট ধরিয়ে দেন তারা

ফেসবুকে গ্রুপে দামি পণ্য বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করেন মহিউদ্দিন আল আজাদ প্রকাশ মহিন খান (২৬)। এর পর বিক্রেতার সঙ্গে দরদাম করে সেই পণ্য কিনে নেন। তবে বিক্রেতাকে কৌশলে ধরিয়ে দেন জাল টাকার বান্ডিল।

বিক্রেতা যখন বুঝতে পারেন তিনি জাল টাকার ফাঁদে প্রতারিত হয়েছেন ততক্ষণে ক্রেতা পণ্য নিয়ে হাওয়া। 

এভাবেই অনলাইন থেকে পণ্য কিনে জাল টাকা ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবসা খুলে বসেছিলেন মহিন খানসহ তার সহযোগীরা।  তবে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়তে হয়েছে তাদের। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন।

তিনি জানান, একাধিক ভুক্তভোগির কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে গত ২৭ ডিসেম্বর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দুই প্রতারককে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এরপর নগরীর বন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হন জাল টাকার ব্যবসায়ী ও প্রতারক মাহিন খান (২৬) এবং মারুফ মোল্লা (২৮)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকার জাল নোট, ৬টি মোবাইল ও ১টি ল্যাপটপ।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের প্রতারণা চালিয়ে জাল টাকার ব্যবসা করে আসছিলো। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এই চক্রের অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।