নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে টাকা চুরির অপবাদে আলিফ (৮) নামে এক শিশুকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিগারেটের আগুনের ছ্যাঁকা ও প্লাস দিয়ে শরীর ক্ষতবিক্ষত করায় সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্র বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ডুমরিয়া কাচারীপাড়া গ্রামের মমিনুরের ছেলে ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্র।
ওই স্কুলছাত্রের মা আইরিন বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, সন্দেহ করে প্রতিবেশী জামিনুরের স্ত্রী তাদের প্লাস্টিকের ব্যাংক কেটে টাকা চুরি করে নেয়ার মিথ্যা অপবাদ দেয়। এ ঘটনায় সোমবার রাত ৯টায় তার জামাতা আলামিন, রাজ্জাকুল ও নুরুজ্জামান শিশু আলিফকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়।
জুড়াবান্দা ব্রিজসংলগ্ন ক্যানেলের বাঁধে নিয়ে শিশুটির গালে ও মুখে সিগারেটের আগুনের ছ্যাঁকা দেয়। এছাড়া প্লাস দিয়ে শরীর ক্ষতবিক্ষত করে এবং বাঁধে ছুড়ে ফেলার ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করে।
রাতেই শিশুটিকে বাড়িতে এনে তাদের ব্যাংকে রক্ষিত টাকা ফেরত দেয়ার জন্য পারিবারিকভাবে চাপ দেয়। পরে গভীর রাতে জামিনুর বাজার থেকে এসে এ ঘটনা শুনে নিজেই তার প্লাস্টিকের ব্যাংক কেটে টাকা নেয়ার কথা জানায়। পরে শিশু আলিফ অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সায়েম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, যার ব্যাংকের টাকা সেই ব্যাংক কেটে টাকা নিয়েছে। অথচ ছোট্ট শিশুটিকে তারা অযথা নির্যাতন করেছে। স্বীকারোক্তির জন্য শিশুটিকে জবাই করতে চেয়ে, প্লাস দিয়ে টেনে নির্যাতন চালায়। পরে শিশুটিকে বাড়িতে এনে তার মায়ের কাছ থেকে ৩০০ টাকা আদায় করে নেয়।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি জ্ঞাত নয় বলে জানান। ঘটনার বিষয়বস্তু জানতে পেরে আইনানুগ ব্যবস্থা ও শিশুটির খোঁজখবর নেয়ার জন্য ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠান।