সুস্থ আছি, প্রস্তুত চুমু খেতেও: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনামুক্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। সোমবার ( ১৩ অক্টোবর) তাকে সানফোর্ড, ফ্লোরিডায় দেখা যায়। বক্তব্যের শুরুতেই ট্রাম্প নিজের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো রয়েছে বলে জানান। এদিন দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায় তিনি করোনা নেগেটিভ হন।

এ সময় ট্রাম্প বলেন, আমি এখন করোনা থেকে মুক্ত। চলাফেরার স্বাভাবিক শক্তি পাচ্ছি। এতটাই সুস্থতা অনুভব করছি যে, জনতার সঙ্গে মেশা, চুমু খাওয়া এবং চাইলে কোনো সুন্দরী নারীকেও এখন চুমু খেতে পারি। আমি এখানে উপস্থিত সবাইকে চুমু খেতেও সমস্যা নেই।

ট্রাম্প বলেন, চিকিৎসকরা বলেছেন আমি রোগপ্রতিরোধ করার জন্য যথেষ্ঠ সুস্থ। আমিও বিষয়টি বুঝতে পারছি। অনুভব করছি। এবং শক্তিশালী অনুভব করছি। আমি কোনোভাবেই আমার বাসার বেজমেন্টের মধ্যে বন্দি হয়ে থাকতে পারি না। আপনি যখন একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন তখন আপনি নিজেকে একটি কক্ষে আবদ্ধ রাখতে পারবেন না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ২ অক্টোবর করোনা আক্রান্ত হওয়ার ১০ দিনের মাথায় সুস্থ হওয়ার ঘোষণা এল। এবং তিনি নির্বাচনী প্রচারণা থেকেই আক্রান্ত হন আর আক্রান্তের পর সুস্থ হয়ে প্রচারণায় ফিরে আসেন। তার আক্রান্ত হওয়া নিয়ে নানা প্রশ্নের মধ্যেই তার চিকিৎসক এমন ঘোষণা দিয়েছেন। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হতে হলে অবশ্যই জিততে হবে। তাই এ রাজ্যে খানিক আগ্রাসী প্রচারণা চালাচ্ছেন ট্রাম্প।

এর আগে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক সিন কনলি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাধ্যমে অন্যদের দেহে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি নেই। এর আগে ট্রাম্প তিন দিন হাসপাতালে থেকে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতাল ছেড়ে চলে আসার পরেও তার মাধ্যমে এই ভাইরাসটি অন্যদের মধ্যে ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে চিকিৎসক শন কনলি যে বিবৃতি দিয়েছেন সেখানে ট্রাম্পের টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে কি না সেটা বলা হয়নি।

শন কনলির চিকিৎসাপত্রে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সবশেষ যে পরীক্ষা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে তার দেহে ভাইরাসটি সক্রিয় থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং এর ফলে তার শরীরে ভাইরাসের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ল্যাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন স্পর্শকাতর পরীক্ষা চালানো হয়েছে যাতে তার দেহে এখনও কী পরিমাণে ভাইরাস সক্রিয় রয়েছে সেটা জনা যায়। এই টেস্টের ফলাফল দেখে বলা যায় তিনি যে অন্যদের শরীরেও এই ভাইরাসটি ছড়াতে পারেন এমন কোনো ঝুঁকি নেই।