সাঈদ খোকনের ‘মিথ্যা ও কটূক্তিপূর্ণ’ বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা

ঢাকা ১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সম্পর্কে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের ‘মিথ্যা ও কটূক্তিপূর্ণ’ বক্তব্যের প্রতিবাদে জনসভা ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন। শনিবার (১৬ জানুয়ারি)বিকাল ৩টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে এ সভা শুরু হয়।


সভায় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সম্পর্কে সাঈদ খোকনের মিথ্যা ও কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানো হয়।ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোরশেদ হোসেন কামালসহ ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট, হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন।সভা পরিচালনা করেন কলাবাগান থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল।

সভায় বক্তারা অবিলম্বে সাঈদ খোকনকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরাও সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে নেতাকর্মীরা ধানমন্ডি ৩ নাম্বারে দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি প্রধান করেন।

উল্লেখ্য গত ৯ জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর কদম ফোয়ারার সামনে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এ পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে ডিএসসিসির সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন। এই টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা তিনি লাভ করেছেন এবং করছেন।

অপরদিকে অর্থের অভাবে করপোরেশনের গরিব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মেয়র তাপস সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯, ২য় ভাগের ২য় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯ (২) (জ) অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

সাঈদ খোকন বলেন, ‘তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলছেন। আমি তাকে বলব রাঘববোয়ালের মুখে চুনোপুঁটির গল্প মানায় না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত করুন। তারপর চুনোপুঁটির দিকে দৃষ্টি দিন।’