শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নুর-রাশেদদের নতুন রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ। ইতোমধ্যে প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে এই নামের বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন সময় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর একাধিকবার রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদের আদলে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে অধিকার পরিষদ গঠন করেছেন তারা।
ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান জানান, আমাদের নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগের নাম গণঅধিকার পরিষদ। ইতোমধ্যে এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাবেক আমলা, অভিজ্ঞ ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে দেশের গুণি ব্যক্তিরা।
এ বিষয়ে রাশেদ খান বলেন, এটি মূলত তারুণ্যনির্ভর রাজনৈতিক দল। তার মানে এই নয় যে, এই দলের সবাই বয়সে তরুণ। এখানে প্রবীণ-নবীনরা মিলে একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলবে। নাগরিক অধিকার নিশ্চিতে তারা কাজ করবেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক এই নেতা বলেন, আপাতত দলগঠন করা হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করা হতে পারে। আর গণঅধিকার পরিষদ নামও চূড়ান্ত হতে পারে। সবাই একমত হলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। সারাদেশে এ পরিষদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গড়ে ওঠা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের একটি অংশ গত বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে নেতা হিসেবে নিজেদের ঘোষণা করে। একই সঙ্গে তারা ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়কদের মধ্যে মুহাম্মদ রাশেদ খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। এর কারণ হিসেবে ঢাবির সাবেক ভিপি নুর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা কথা উল্লেখ করেন তারা।
নব্য ঘোষিত সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে, আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এপিএম সোহেলকে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তীতে ডাকসুর ভিপি হওয়ার পর ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্যতম নেতায় পরিণত হওয়া নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে গড়ে উঠেছিল এবং তাতে ছাত্রলীগ, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠন থেকেও অনেকে এসেছিল। সম্প্রতি আমরা যখন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি তখন ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদের মতো সংগঠন করেছি। আর ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নামে যারা নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে তারা বেশিরভাগই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত। এমন পরিস্থিতিতে আমরা নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ গঠন করেছি। যা শিগগিরই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবো।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ঘেটে দেখা যায়, গণঅধিকার পরিষদ নামে একাধিক ফেসবুক পেজ এবং অ্যাকাউন্ট খোলা রয়েছে। যেখানে নুরুল হক নুরের বিভিন্ন মন্তব্য ও নির্দেশনামূলক লাইভ ভিডিও পোস্ট করা হচ্ছে।