বিসিবির বেড়াজালে আটকে চাকরি হারাচ্ছেন ডোমিঙ্গো

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে নিয়ে যেন চিন্তার শেষ। একদিকে দলের এমন বাজে পারফরম্যান্স অপর দিকে ডোমিঙ্গোকে বরখাস্ত করলে আইনি জটিলতায় পড়ে বড় অংকের ক্ষতিপূরণ গুণার শঙ্কায় রয়েছে বিসিবি।

আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরেও দলের সঙ্গে থাকবেন ডোমিঙ্গো। তবে এরপর আর থাকবেন কিনা, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
গতকাল (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীকে ডোমিঙ্গো প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জবাবে বলেন, উনি যাবেন, এখন পর্যন্ত সে রকমই ঠিক হয়ে আছে।

বিসিবি নির্বাহীর কথায় ডোমিঙ্গো নিউজিল্যান্ড সফরে গেলেও আগের মতো যাচ্ছেন না। আপৎকালীন কোচ হিসেবে তিনি থাকবেন দলের সঙ্গে। অবশ্য গত ১ ডিসেম্বর থেকে বিসিবির সঙ্গে তার দুই বছরের নতুন চুক্তি কার্যকর হয়ে যাওয়ার কথা। যে চুক্তির প্রথম এক বছর গ্যারান্টিড বলে ডমিঙ্গোকে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বাধ্যবাধকতাও ছিল বিসিবির। তা না হলে গুণতে হতো এক লাখ ৮৭ হাজার ইউএস ডলারের মতো।

দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ বিদায় করলে এতো ঝামেলা এড়িয়ে যাওয়ার অবশ্য পথ খুঁজে পেয়েছে বিসিবি। বিষয়টি জানিয়েছেন বোর্ডের এক পরিচালক। তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েই নিয়েছি। সে জন্যই চিঠিতে তারিখ ৩০ নভেম্বর দেওয়া। আগের চুক্তির ১৮.১ ধারায় বলা আছে, বিসিবি কোনো কারণ ব্যাখ্যা না করেই তাঁকে যখন-তখন টার্মিনেট করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্য তাঁকে তিন মাসের বেতন দিতে হবে। আগের চুক্তি অনুযায়ী যে টাকা হয়, তা আমরা তাঁকে দিয়েও দেব।

বোর্ডেরই আরেকটি সূত্র অবশ্য মনে করছে যে চাইলে আইনি পথ বেছে নিতে পারতেন ডমিঙ্গোও। যেহেতু আরেকটি নতুন চুক্তিতে তিনি এর মধ্যেই সই করে ফেলেছেন। তবে যাই হোক, বর্তমানে বাংলাদেশ দলে ভালো অবস্থানে নেই ডোমিঙ্গো। একে তো তার মাথার ওপর বসানো হয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনকে। অপরদিকে নিউজিল্যান্ড সফরে তার জন্য থাকছে না আগের মতো ব্যবস্থা। আরো অসন্মানজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার আগেই তাই চাকরি হারানোর নিয়তিও মেনে নিচ্ছেন একরকম। সেটি জেনে যাওয়ায়ই চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে খুব বিমর্ষও দেখাচ্ছিল ডমিঙ্গোকে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগ পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না বিষয়টি আসলে কোন দিকে গড়াচ্ছে
প্রভাতনিউজ/এনজে