গাজীপুর প্রতিনিধি:
পুলিশ ও জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করতে হবে। মনের মধ্যে একটি ক্রিয়া
করতে হবে সমন্বয় ভালো এবং মন্দ। রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান কাজই হচ্ছে গণতান্ত্রিক
উপায়ে শোষন মুক্ত একটি সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করা। যেখানে আইনের শাসন মানুষের
মৌলিক মানবাধিকারসহ স্বাধীনতা সাম্য সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে। মনে রাখতে
হবে আমরা সবাই পারস্পরিক ভাই।
শনিবার দুপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানা প্রাঙ্গনে কমিউনিটিং
পুলিশিং ডে ২০২০ উপলক্ষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গাজীপুর
মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সমাজ থেকে অপরাধ ও অপরাধের কারণ দূরীকরণ, অপরাধ ভীতি হ্রাস এবং
সমাজের অন্যান্য যে সমস্ত সমস্যা আছে সেগুলোর সমাধান দেয়াই হলো
কমিউনিটি পুলিশের কাজ। অপরাধীদের সনাক্ত করে আইনের সামনে নিয়ে আসা
এবং যারা নিরীহ জনগণ আছে তাদেরকে যাতে সার্বিক নিরাপত্তা বোধ প্রদান
করা সম্ভব হয় সেটা নিশ্চিত করা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ আজাদ মিয়ার
সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস.এম তরিকুল
ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার শরিফুর রহমান, মহানগর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি
অ্যডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, পরিবহন শ্রমিক নেতা সুলতান আহমদ সরকার,
নারী কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা
আবু হানিফ, আওয়ামীলীগ নেতা মহি উদ্দিন মহি, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের
নেতা ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
সবাইকে বিশেষ করে পুলিশ সদস্যদের সৎ কাজের আহবান জানিয়ে পুলিশ কমিশনার
আরো বলেন, আমাদের সৎ কাজের নির্দেশনা দিতে হবে। বাধা দিতে হবে অসৎ ও
মন্দকাজের।
তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ধারণা সৃষ্টি হয়েছে সংঘবদ্ধভাবে
জনগণের অংশগ্রহণে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে পুলিশের সঙ্গে সর্বোত্তম
সেবার ভিত্তিতে নিজের অঙ্গিকার পূরণ করে কাজ করা। আর অঙ্গিকার আমাদের
যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে অঙ্গিকার পূরণ করি।