স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যায় স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

স্ত্রী রেশমা খাতুনকে কেরোসিন দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী ইমাদুলকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (১১ নভেম্বর) বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ রায় দেন।

বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে এ রায় ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ।

২০০২ সালের ১৯ জুলাই সাতক্ষীরা জেলার সদর থানার ইমাদুল যৌতুকের দাবিতে কেরোসিন ঢেলে স্ত্রী রেশমা খাতুনের গায়ে আগুন দেয়। এ ঘটনার ১০ দিন পর ২৯ জুলাই মৃত্যু হয় রেশমা খাতুনের। মৃত্যুর আগে আসামি ইমাদুলকে অভিযুক্ত করে জবানবন্দি দেয় রেশমা খাতুন।

পরে এ মামলায় দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০০৮ সালের ১১ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ইমাদুলকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে আসে। এরপর হাইকোর্টে শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।

এরপর আসামি আপিল দায়ের করলে আপিল বিভাগ শুনানি শেষে বুধবার (১১ নভেম্বর) আসামি ইমাদুলের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালতে আসামির পক্ষে ছিলেন এ বি এম বায়জিদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

অমিত দাশ গুপ্ত জানান, আসামি ইমাদুল ২০০০ সালে বিয়ে করে। এরপর দুই বছর পরই সে তার স্ত্রীকে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে। ২০০৩ সাল থেকে এ আসামি কারাগারে। মৃত্যুদণ্ড রায়ের পর থেকে কারাগারের কনডেম সেলে রয়েছে এ আসামি। দীর্ঘ কারাবাসের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আদালত আমৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।