মাগুরায় স্বামীর নির্যাতনে এক দুগ্ধদানকারী মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আছমা খাতুন (২২)। তার তিন মাস বয়সী এক পুত্রসন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে স্বামী মহব্বত আলী ও তার বাবা নূরালী মোল্যাকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার জানায়, প্রায় পনের মাস আগে সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের নূরালী মোল্যার ছেলে মহব্বত আলী মোল্যার সঙ্গে সদর উপজেলার নালিয়ারডাঙ্গি গ্রামের হালিম শেখের মেয়ে মোছা: আছমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী মহব্বত আলী আছমা খাতুনকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। গত পাঁচ মাস আগে সুদ করে টাকা নিয়ে আছমার বাবা মহব্বত আলীকে দুই লাখ টাকা দেন। তিনি আরও ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। দিতে না পারায় নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলে। এর মধ্যে গত তিন মাস আগে আছমা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। ছেলে শাহাদাৎ আলীর বয়স ৩ মাস হলেও স্বামীর অত্যাচার নির্যাতন চলে আগের মতোই।
নিহতের বাবা হালিম শেখ জানান, গত শুক্রবার মহব্বত আলীর স্বজনেরা আছমা খাতুনের বাপের বাড়িতে মোবাইল করে জানান তাদের মেয়ে (আছমা) খুব অসুস্থ। অসুস্থতার খবর পেয়ে আছমার মা ছুটে যান মেয়ের বাড়িতে। শনিবার (১৪ নভেম্বর) তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহম্মদ জয়নাল আবেদিন জানান, এখনও থানাতে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ খবর পেয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মহব্বত আলী ও তার পিতা নূরালী মোল্যাকে থানায় নিয়ে এসেছে।