গ্রামীণ সড়ক-অবকাঠামো নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

গ্রামীণ সড়ক ও অবকাঠামো নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় যুক্ত হয়ে এ নির্দেশ দেন। সভা শেষে পরিকল্পনা সচিব আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা জানান।

পরিকল্পনা সচিব জানান, আজকের একনেক সভায় ‘গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প: বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় প্রকল্পটির বিষয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, গ্রামীণ সড়ক ও অবকাঠামো নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির জন্য।

সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা অনেক কাজ করছি গ্রামীণ রাস্তা, গ্রামীণ অবকাঠামোর। কাজগুলো সত্যিকার হচ্ছে কি না, মানসম্মত হচ্ছে কি না, সেগুলো ভালো করে পরখ করতে হবে। কাজের কোয়ালিটি যেন ঠিক থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। রাস্তায় যেন পানি না জমে। কারণ রাস্তায় পানি জমলে তা নষ্ট হয়ে যায়। 

সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আরেকটা মাস্টারপ্ল্যান করার কথা বলেছেন, কোন রাস্তা, কোথায় করা হবে সে বিষয়ে। স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতৃত্বে গ্রামীণ রাস্তা ও অবকাঠামো নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 

‘ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন’ প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘এই রাস্তাগুলো খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত এগুলো করতে হবে। তবে অন্যান্য মন্ত্রণালয় যারা রাস্তা করে বা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজটা করতে হবে। যাতে কোনো ওভারলেপিং না হয়। কোন কাজটুকু করতে হবে, কত কাজ বাকি থাকছে, কোন মন্ত্রণালয় করলে ভালো হয়, এগুলো সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। আগামী বর্ষা আসার আগেই যেন মূল কাজগুলো হয়ে যায়। তাতে সাশ্রয়ী হবে।’

নদীভাঙনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনা সচিব বলেন, ‘নদীভাঙন রক্ষায় মূল কৌশল হবে আমাদের একটা চ্যানেলে সবসময় প্রবাহ রাখা। প্রয়োজনে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে নিয়মিত আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং রাখতে হবে। নদীর প্রবাহ ঠিক রাখলে ভাঙন থেকে আমরা অনেকাংশে রক্ষা পাবো। এজন্য কোনো ডুবোচর বা কোনো চর যদি থাকে, সেগুলো চিহ্নিত করে সরিয়ে ফেলতে হবে। এ কাজগুলো যে ড্রেজিং, ক্যাপিটাল ড্রেজিং, নিয়মিত ড্রেজিং, বাফার জোন তৈরি করা, ছোট ছোট নদীগুলো খনন করা, রক্ষণাবেক্ষণ করা।