যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃতের সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়াল

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিস্টেমস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মোট সংখ্যা গতকাল বুধবার আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে।

সিএসএসই জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত এক কোটি ১৫ লাখের বেশি মানুষ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং দুই লাখ ৫০ হাজার ৪৮৫ জন মারা গেছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স, সিনহুয়া ও ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে করোনায় মৃত্যুর তালিকার শীর্ষে রয়েছে নিউইয়র্ক। অন্যতম জনবহুল এই অঙ্গরাজ্যে ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। এরপরই রয়েছে টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা ও নিউজার্সি। এসব অঙ্গরাজ্যে গড়ে ১৬ হাজারের বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

আক্রান্ত ও মৃত্যু বিবেচনায় নভেল করোনাভাইরাসে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র।

সিএসএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৭ জন মারা গেছে, যা গত ১৪ মে এক হাজার ৭৭৪ জন মারা যাওয়ার পর একদিনে সর্বাধিক মৃত্যুর রেকর্ড।

এদিকে বর্তমান পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি মডেল পূর্বাভাসে দেখা যায়, ২০২১ সালের ১ মার্চের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মোট চার লাখ ৩৮ হাজার ৯৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে।

আসন্ন থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের ছুটিতে পারিবারিক জমায়েত এবং কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। করোনা শনাক্তের পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে মৃত্যু।

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ কোটি ৬১ লাখ ৭৮ হাজার ১৪৯ জনে।

এ ছাড়া কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬০০ জনে দাঁড়িয়েছে।

জেএইচইউর তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে তিন কোটি ৬১ লাখ ১২ হাজার ২৬৭ ব্যক্তি।

গত বছর চীনের ‍উহানে প্রথম নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।