ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের আহ্বান

ইসলামিক গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল বলেছেন, আগামী ২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে দ্রুতই রাজধানী থেকে মানুষ সারাদেশে নিজ-নিজ গন্তব্যে যাত্রা শুরু করবেন। তাদের এই যাত্রা যেন নিরাপদ হয়, সেদিকে সরকারকে সর্বোচ্চ খেয়াল রাখতে হবে।

শুক্রবার (৯ জুন) দুপুরে এক বিবৃতিতে ইসলামিক গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল এসব কথা বলেন।

‘ঈদযাত্রা নিরাপদ করে তোলা, কোরবানীর চামড়ার সুষ্ঠু বন্টন ও সুষ্ঠু বাজার দর নির্ধারণের জন্য সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান’ শীর্ষক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে ঈদযাত্রায় শত-শত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়কে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কোনওভাবেই সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।’

এম এ আউয়াল বলেন, ‘মহাসড়কে অতিরিক্ত গতি, যানবাহনের গতি প্রতিযোগিতা, মহাসড়কে ছোট-ছোট অনিরাপদ যানের উপস্থিতি কোনওভাবেই ঠেকানোর ব্যবস্থা করা যায়নি। বিগত বছরগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ঈদে যেন দুর্ঘটনার মাত্রা শূন্যের কোঠায় নামানো যায়, একটি প্রাণও যেন না ঝড়ে সড়কে; এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

বিবৃতিতে এম এ আউয়াল উল্লেখ করেন, আসছে কোরবানীর ঈদে সারাদেশে লাখ-লাখ পশু কোরবানী করা হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এই কোরবানীর পশুর চামড়া পূর্ণ হক দরিদ্র, সম্বলহীন মানুষের। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা দেখে আসছি, নানা কারণে চামড়ার প্রকৃত মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ।’

তিনি বলেন, ‘কোরবানীর পশুর চামড়া নিয়ে কুচক্রিমহল যেন চক্রান্ত করতে না পারে, সে কারণে এখনই সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। পশুর চামড়ার প্রকৃত মূল্য থেকে যেন মানুষ বঞ্চিত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। বৃষ্টির কারণে যেন চামড়া নষ্ট না হয়, না পচে; বিকল্প ব্যবস্থাপনা এখনই শুরু করতে হবে। অন্যথায় অনাকাঙিক্ষত কোনও পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এর জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে।’