মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের ২০০ প্লটের মালিক হওয়ার বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মোঃ সাঈদ নূর আলম। আজ রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।
গোল্ডেন মনিরের বাসা থেকে ২০০ প্লটের নথি জব্দ এবং বাড্ডার বাসা থেকে কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এগুলো আমরা তদন্ত করবো। তদন্তে যারা যারা শনাক্ত হবে তাদের সবার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আদালতে যে মামলা আছে তা চলবেই।’
‘আমরা ধারণা করছে এটা একদিনের প্রক্রিয়া নয়, এটা দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়া। আমরা এতো দিনে উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। গতবছর প্রথম উদঘাটন হয় এবং তখন থেকে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। সর্বশেষ বিষয়টি উদঘাটিত না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যবস্থা চলমান থাকবে।’
চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘রাজউকেরই এক কক্ষে গতবছর অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। ওই কক্ষটি বাইরে ভাড়া দেওয়া ছিল। এই কক্ষ থেকে আমরা ৭২টি নথি উদ্ধার করেছি। সেই নথি উদ্ধারের ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সময়ই একজন কর্মচারী আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়। সেই কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলা চলমান রয়েছে। তদন্তও চলছে। এর সঙ্গে আরো যারা জড়িত আছে, পুলিশ অভিযোগপত্র দিলে এবং শনাক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজউকের পক্ষ থেকে গোল্ডেন মনিরকে ভিআইপি প্রটোকল দেওয়া প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারিভাবে যেভাবে নথি স্বাক্ষর হয়, আমি সেই নিয়ম অনুসরণ করি। এখানে কাউকে কোনো প্রকার ভিআইপি প্রটোকল দেওয়া হয়নি বা দেওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না। এখানে নিয়ম ভঙ্গের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।’
রাজউক চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘আমরা তার অনিয়মগুলো উদঘাটন শুরু করেছি। উদঘাটন হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যেগুলো উদঘাটন হবে সেগুলো অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আদালতে বিচার ও বিভাগীয় ব্যবস্থা চলছে।’
‘২০০ প্লটের মালিক হওয়ার বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন আছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে। ভবিষ্যতে কোনো প্রকার অনিয়ম থাকবে না,’ যোগ করেন চেয়ারম্যান।