অর্থপাচারকারীদের ছাড় দেয়া যাবে না: হাইকোর্ট

যত বড়ই ক্ষমতাশীলই হোক, অর্থপাচারকারীদের ছাড় দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশের উচ্চ আদালত।

বুধবার (০২ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন মোঃ খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

শুনানিতে আদালত বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে অর্থপাচারকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তারা যত বড় রুই-কাতল হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আমাদের সবার উচিত হলো দেশের প্রোপার্টি রক্ষা করা। এটাতো আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। ২১ অনুচ্ছেদ অনুসারে। কাজেই শুধু কোর্ট করবে অন্যরা করবে তাতো না, সবাইকে করতে হবে।

আদালত পরবর্তী আদেশের জন্য ৯ ডিসেম্বর সময় রেখেছেন। এই সময়ের মধ্যে বিচারিক আদালতে পিকে হালদারের গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে প্রতিবেদন, মামলার এফআইআর ও সম্পত্তি-অর্থ জব্দের আদেশ আদালতে দাখিল করতে দুদককে বলা হয়েছে।  

এ সময় দুদক আইনজীবী শুনানিতে বলেন, পিকে হালদারকে গ্রেফতারে একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে। ইন্টারপোলের সহযোগিতাও চাওয়া হয়েছে। এছাড়া তার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে আদালতে। পরে আদালত পিকের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি এবং মামলার সবশেষ অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন আদালত। শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৯ ডিসেম্বর।

ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আড়াই মাস আগে পিকে হালদারের বিপক্ষে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সে বিষয়ে দুদকের পদক্ষেপে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত।