মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে খুলনার হ্যাটট্রিক জয়

১৪৬ রানের মাঝারি লক্ষ্য। এই রান তাড়া করতে নেমে জেমকন খুলনাকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার জহুরুল অমি ও জাকির হোসেন। দুই ওপেনারের পর শেষের দিকে মাহমুদউল্লাহর দারুণ ফিনিশিংয়ে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা। এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে জয় পেল খুলনা।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রাজশাহীর দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে জেমকন খুলনা। কোনো উইকেট না হারিয়েই প্রথম সাত ওভার পার করে মাহমুদউল্লাহর দল। নবম ওভারে ওই জুটি ভাঙেন আরাফাত সানি। ১৯ রানে নাজমুল হোসেনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন জাকির, ৫৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় খুলনা।

জাকিরকে হারানোর পর ইমরুল কায়েস ও জহুরুলের ব্যাটে কিছুক্ষণ লড়াই করে খুলনা। ১২ ওভারে জহুরুলকে আউট করে সেই প্রতিরোধ ভাঙেন ফরহাদ রেজা। ৪০ বলে ৪৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন জহুরুল। পরের ওভারে ইমরুলকে ফেরান মুকিদুল ইসলাম। ফেরার আগে ২৭ রান করেন তিনি।

এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সাকিব। চার রানে সাকিবকে সরাসরি বোল্ড করেন সাইফউদ্দিন। সাকিবের পর শামীমকে এলবির ফাঁদে আউট করেন মুকিদুল।

ভালো শুরুর পর দ্রুত কয়েক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় খুলনা। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়কের অপরাজিত ৩১ রানের ইনিংসে চড়ে স্বস্তির জয় তুলে নেয় খুলনা।  

এর আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৪৫ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। দলীয় চার রানে এলবির ফাঁদে পড়ে ফিরে যান ওপেনার আনিসুল ইসলাম।

দ্বিতীয় জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে নাজমুল ও রনি তালুকদারের ব্যাটে ভালোভাবেই এগিয়ে যায় খুলনা। কিন্তু সেই প্রতিরোধ ভেঙে দিলেন খুলনার বোলার আল আমিন। ১৪ রানে রনিকে ফেরান তিনি। মেহেদী হাসানকে আউট করেন শহীদুল ইসলাম। তিন উইকেট হারানোর পর উইকেটে থিতু ছিলেন নাজমুল। মাথা ঠাণ্ডা রেখে খেলে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। এর মধ্য ৩৩ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন।

১২.৪ ওভারে নাজমুলের প্রতিরোধ ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ। খুলনার অধিনায়কের বলে পুল করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন নাজমুল। সেখানে ছিলেন শামীম, সহজেই ক্যাচ জমান হাতের মুঠোয়ও। নাজমুলের পর ব্যাট করতে নেমে ৯ রানে আউট হন ফজলে মাহমুদ। এরপর শেষের দিকে জাকির আলী ও নুরুল হাসান সোহানের ৫২ রানের জুটিতে ১৪৫ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। ইনিংস শেষে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন নুরুল। জাকির অপরাজিত ছিলেন ১৫ রানে।

মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী :  ২০ ওভারে ১৪৫/৫ (নাজমুল ৫৫, আনিসুল ১, রনি ১৪, মেহেদী ৯, মাহমুদ ৯, নুরুল ৩৭, জাকির ১৫; আল আমিন ৪-০-৩৫-১, সাকিব ৪-০-১৭-০, শুভগত ৩-০-২৫-২, শহীদুল ৪-০-৪৩-১, হাসান ৪-০-১৬-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৪-১)।

জেমকন খুলনা :  ২০ ওভারে ১৪৬/৫ (জাকির ১৯, ইমরুল ২৭, জহুরুল ৪৩, সাকিব ৪, মাহমুদউল্লাহ ৩১, শামীম ৭,আরিফুল ১০; আরাফাত ৪-০-২৩-১, সাইফউদ্দিন ৪-০-৩৩-১, মেহেদী ৪-০-৩০-০, মুকিদুল ৩.২-০-৩১-২, ফরহাদ ৪-০-২৭-১)।

ফল  :  পাঁচ উইকেটে জয়ী জেমকন খুলনা।