স্ট্রাইক রেট নিয়ে চিন্তিত নন তামিম

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মোটামুটি ভালোই খেলছেন তামিম ইকবাল। এখন পর্যন্ত ২১১ রান নিয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রহকারীদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন তিনি। তবে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১১৬.৮৭। যা সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেটে খুব একটা ভালো বলা যাবে না।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তামিম গতানুগতিক ব্যাটিং করলেও ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনি সব সময় ভালো করছেন। অনেকের মতে, আধুনিক ক্রিকেটে সেরা স্ট্রাইক রেটে পৌঁছানোর সামর্থ্য তামিমের আছে। তবে তাঁকে আরো আগ্রাসী হতে হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, ‘ম্যাচ জিততে না পারলে সেরা স্ট্রাইক রেট কোনো কাজেই লাগে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী ৩০ বলে ৩০ রান করার মধ্যে আমি খারাপ কিছু দেখছি না। আমরা যখন ১৫০ রানকে টার্গেট করব, তখন তিন উইকেট পড়ে গেলে, ২০ বলে ৩০-৪০ রান করা কঠিন হয়ে পড়ে। গত ম্যাচের কথাই ধরুন। আমি ১৫০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করছিলাম। কিন্তু ফের ৩২ রানে আউট হয়ে যাই। আর আমি যদি কিছুটা রক্ষণাত্মক হতাম ইনিংস বড় করা সম্ভব ছিল। এমন অবস্থায় ম্যাচও জয় করা সম্ভব হতো।’

ফরচুন বরিশালে অধিনায়ক আরো বলেন, ‘স্ট্রাইক রেট যাই হোক না কেন মানুষের সমালোচনা থাকবে। তাই সেটি নিয়ে কোনো সমস্যা দেখি না। দিন শেষে আমি যদি ৪০ বলে ৪০ রান তুলেই ম্যাচ জয় করতে পারি তাহলেই ভালো। আর ১৫ বলে ৪০ তুলে যদি হেরে যাই, তাহলে সেটি ভালো ইনিংস নয়।’

স্ট্রাইক রেট সম্পর্কে তামিম বলেন, ‘দিন শেষে গুরুপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দলে আমি কেমন খেলছি। স্ট্রাইক রেটের চেয়ে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কতটা দীর্ঘ সময় ক্রিজে টিকে থাকলাম। আমি যদি দীর্ঘক্ষণ খেলতে পারি, তাহলে স্কোর বড় করার অনেক সুযোগ পেয়ে যাব। এই দলে মাত্র ৩০ রান সংগ্রহ করাটা আমার জন্য যথেষ্ট নয়, বরং ৪০-৪২ বল খেলে যদি ৫০ রান সংগ্রহ করতে পারি তাহলে ১০৯ রানের জায়গায় দলীয় স্কোর পৌঁছে যাবে ১৩০-১৩৫ রানে। সেক্ষেত্রে বোলাররা লড়াই করার কিছুটা সুযোগ পাবে। আপনারা যদি ১০০ থেকে ১২০ রানেই অল আউট হয়ে যান তাহলে সেখানে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই থাকে না।’