আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক যুগ আগে দায়ের করা মামলায় ১৩ বছর দণ্ড বাতিলের বিষয়ে আবারো শুনানির জন্যে হাইকোর্টের কার্যতালিকায় (কজলিস্ট) রয়েছে।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির কথা রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের আইনজীবী আইনজীবী মোঃ খুরশীদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ১৩ বছর দণ্ডাদেশ মামলার বিচারিক (নিম্ন) আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।
গত ১১ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন। তলবে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতকে এসব নথি হাইকোর্টে পাঠাতে বলা হয়।
আদালতে ওইদিন দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোঃ খুরশীদ আলম খান। হাজী সেলিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান মনির।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর হাইকোর্টে এ মামলার আপিল আবারো শুনানির জন্য কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক (নিম্ন) আদালত।
বিচারিক আদালতে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিমের আইনজীবী।
২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করে নুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে মামলাটি পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
হাজী সেলিমের আপিলের দ্রুত শুনানি চেয়ে দুদক একটি আবেদন করেছিল। সেই আবেদনের ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টে মামলাটি শুনানির জন্য আসে এবং নথিও তলব করা হয়।