প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হয়েছে। গণভবন থেকে শেখ হাসিনা ও দিল্লি থেকে নরেন্দ্র মোদি আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের মধ্যকার সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো প্রসারিত করে ঢাকা-দিল্লির ‘মজবুত ও ঐতিহাসিক’ সম্পর্ককে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে বের করবে।
এ ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলিদাবাড়ি রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন হচ্ছে।
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বৈঠক শেষে দুপুর আড়াইটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সংবাদ সম্মেলন করবেন।
সম্মেলন সামনে রেখে বাংলাদেশ জানিয়েছে, নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে দুই দেশ সব মানুষের কল্যাণে এক নিরাপদ দক্ষিণ এশিয়া প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে যা দরকার তা হলো আমাদের লোকজনের ইতিবাচক মানসিকতা। সমানভাবে আমাদের দরকার পরস্পরের উদ্বেগ, ঝুঁকি ও দুর্বলতার পাশাপাশি সুযোগগুলো বুঝতে পারা।’
ভারত জানিয়েছে যে দুই প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পুরো বিষয়গুলো নিয়ে ‘বিস্তারিত আলোচনা’ করবেন।
এদিকে ভার্চুয়াল বৈঠকের আগেই দুই দেশের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সমঝোতা স্মারক সই হয়। ভারতের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম দ্বোরাইস্বামী চুক্তিগুলোতে সই করেন।
দুই দেশের মধ্যে যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে সেগুলো হলো বাংলাদেশ-ভারত সিইও ফোরামের টার্ম অব রেফারেন্স, কৃষিখাতে সহযোগিতা, হাইড্রোকার্বন বিষয়ে রূপরেখা, হাতি সংরক্ষণ বিষয়ে সহযোগিতা, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল জাদুঘর ও নয়াদিল্লি জাদুঘরের মধ্যে সহযোগিতা, হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প চালু ও বরিশালের স্যুয়ারেজ প্রকল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক।