এইচএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থীদের অটোপাসের নম্বরপত্রের জন্য ‘খসড়া নীতিমালা’ তৈরি করে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি। এখন চলছে যাচাই-বাছাই। মন্ত্রীর অনুমোদন পেলে এক সপ্তাহের মধ্যে ফল তৈরির কাজ শেষ হবে।
একাধিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই নীতিমালা অনুমোদন পেলে সেই ফরমেটে নম্বরপত্র তৈরি করা হবে। সব শিক্ষা বোর্ডে এক সপ্তাহের মধ্যে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে।
নীতিমালা অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক নম্বর নির্ধারণ করা হবে। এরমধ্যে জেএসসিতে ২৫ শতাংশ এবং এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ওপর ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে। যারা জেএসসিতে অংশ নেননি তাদের ক্ষেত্রে শতভাগ নম্বর এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ওপর নির্ধারণ করা হবে। তবে, কেউ আগের দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও অতিরিক্ত বিষয়ে ও ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যুক্ত থাকলে তাদের ক্ষেত্রে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পরিবর্তন হতে পারে। বিষয়ভিত্তিক ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও একই নীতি অনুসরণ করতে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম শনিবার বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই ফল প্রকাশিত হবে। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোডিং করে ফল তৈরি করা হবে।’
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, ‘ফল তৈরির জন্য দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরা মিলে সভা করেছি। ফল তৈরির সব প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। জাতীয় পরামর্শক কমিটি যে দিক-নির্দেশনা দেবে, তার ভিত্তিতেই আমরা ফল তৈরি করবো। প্রস্তুতিও নিয়েছি।’ নম্বর নির্ধারণ করার নীতিমালা চূড়ান্ত হলে সব শিক্ষা বোর্ডে ফল তৈরির কাজ শুরু হবে বলেও তিনি জানান।