বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জাপান আগামী বছরই প্রত্যাবাসন চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনস, বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ইতো নাওকি বলেন, আমরা আগামী বছর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চাই। এ সংকটের সমাধান হওয়া জরুরি।
জাপানের রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, আমরা রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই এর দ্রুত সমাধান প্রত্যাশা করে আসছি। এমনকি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও মিয়ানমার সফর করেছেন। তিনি মিয়ানমারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে আলাপ-আলোচনাও করেছেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প
ইতো নাওকি জানান, বাংলাদেশে যেসব রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের সহায়তা করে আসছে জাপান। তার দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জন্য ১২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
তিনি আরো জানান, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নেও ৬৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে জাপান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাপানের রাষ্ট্রদূত জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে ভূমিকা জাতিসংঘ নিক না কেন, এ সংকট সমাধানে আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করছি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিকাব সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টি ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাড়াশি অভিযানের শিকার হয়ে সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে একাধিকবার তাদের ফেরত নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও সে প্রক্রিয়া শুরু করেনি দেশটি।