শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ব্যবধানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

ফাফ দু প্লেসির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের মঞ্চ আগেই তৈরি করে রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বল হাতে বাকি কাজ সেরেছেন বোলারেরা। দুই বিভাগের নৈপূণ্যে শ্রীলঙ্কাকে ৪৫ রান ও ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৮০ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। এই জয়ের মাধ্যমে  দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০-তে এগিয়ে গেছে কুইন্টন ডি ককের দল।

টেস্টের প্রথম দিন ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩৯৬ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। বিপরীতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দু প্লেসির ১৯৯ রানে ভর করে টেস্টে রেকর্ড গড়া সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবার সর্বোচ্চ ৬২১ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১২ সালে কেপটাউন টেস্টে চার উইকেটে ৫৮০ রান ছিল লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের আগের সর্বোচ্চ রান।

এরপর ২২৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কানরা থেমেছে ১৮০ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি শ্রীলঙ্কা। কেবল দুজন ব্যাটসম্যান করেন অর্ধশতক।  ওপেনার কুশল পেরেরা করেন ৬৪ রান ও অভিষিক্ত ভানিদু হাসারাঙ্গা করেন ৫৯।

জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ৮ উইকেট। আনরিক নরকিয়া, লুঙ্গি এনগিডিরা শ্রীলঙ্কার ৭ উইকেট তুলে নেন চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই। আর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা চোটে ছিটকে যান। ফলে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকেরা। আগামী রোববার সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস : ৩৯৬

দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস : (আগের দিন ৩১৭/৪) ১৪২.১ ওভারে ৬২১ (দু প্লেসি ১৯৯, বাভুমা ৭১, মুল্ডার ৩৬, মহারাজ ৭৩, নরকিয়া ০, সিপামলা ০, এনগিডি ২*; ফার্নান্দো ৩১.১-৩-১২৯-৩, রাজিথা ২.১-০-১৬-০, শানাকা ২৮.৫-২-৯৮-২, হাসারাঙ্গা ৪৫-৫-১৭১-৪, কুমারা ২১.১-০-১০৩-১, করুনারত্নে ৬.৫-০-৩৬-০, কুসল মেন্ডিস ৭-০-৪১-০)।

শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস : (আগের দিন ৬৫/২) ৪৬.১ ওভারে ১৮০ (পেরেরা ৬৪, চান্দিমান ২৫, ডিকভেলা ১০, শানাকা ৬, হাসারাঙ্গা ৫৯, ফার্নান্দো ০, রাজিথা ০, কুমারা ০*, ধনাঞ্জয়া আহত অবসর; এনগিডি ১০-২-৩৮-২, নরকিয়া ১০.১-২-৪৭-২, মুল্ডার ১২-১-৩৯-২, সিপামলা ৫-০-২৪-২, মহারাজ ৬-৩-২০-০, মারক্রাম ৩-২-৬-০)।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ফাফ দু প্লেসি