ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০-এর যে খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়, তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদের অধিবেশন না থাকায় তা মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর হলো।
এর আগে সোমবার (১২ অক্টোবর) ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি আইনে পরিণত হবে। এর আগে এটির আইনি যাচাই (ভেটিং) হবে। যেহেতু সংসদ অধিবেশন আপাতত চলমান নেই, তাই সরকার সংশোধিত আইনটি একটি অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির পর থেকেই আইনটি কার্যকর হবে।
আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখার পাশাপাশি আরও দুটি সংশোধনী আনা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হলো যৌতুকের ঘটনায় মারধরের ক্ষেত্রে (ধারা ১১-এর গ) সাধারণ জখম হলে তা আপসযোগ্য হবে। এছাড়া এ আইনের চিলড্রেন অ্যাক্ট-১৯৭৪-এর (ধারা ২০-এর ৭) পরিবর্তে শিশু আইন ২০১৩ প্রতিস্থাপিত হবে।
দেশে সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। এতে অংশ নিয়ে প্রতিদিনই তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা হাজার হাজার মানুষ। অনেকেই ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানান।