দাফনের সময় নড়ে ওঠা শিশুটি বাঁচল না

শেষ পর্যন্ত মারাই গেলো মরিয়ম। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত ঘোষণার পর দাফনের সময় নড়ে ওঠা শিশুটি টানা ৬দিন শিশুদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিল। বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেলে মারা যাওয়ার পর মরিয়মকে উত্তরায় দাফন করা হয়।

১৬ই অক্টোবর ভোরে ঢাকা মেডিকেলে জন্ম নেয় শাহিনূর-ইয়াসিন দম্পতির কন্যা মরিয়ম। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জন্ম নেয়া শিশুটিকে মৃত হিসেবে সনদ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি নেয়ার সময় বাবা ইয়াসিনের কোলে কেঁদে ওঠে মরিয়ম। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে আবারো ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেলে এনআইসিইউতে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত নবজাতক মরিয়মকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। কবরস্থান থেকে হাসপাতালে ফেরার ছয় দিনের মাথায় চলে গেলো মরিয়ম। বুধবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেল শিশুটি।

মরিয়মের বাবার ইয়াসিন মোল্লার অভিযোগ, সঠিক সময়ের অনেক আগে অনেকটা জিম্মি করেই মরিয়মকে ভূমিষ্ঠ করার পরামর্শ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই শিশুটির শারীরিক জটিলতা বেড়েছে। তবে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি ঢাকা মেডিকেলের কেউ।

পরে ঢাকা মেডিকেল থেকে রাত দুইটার দিকে মরিয়মের মরদেহ নেয়া হয় রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। সেখান থেকে ফিরিয়ে দিলে নেয়া হয় আজিমপুর কবরস্থানে।

কিন্তু সেখানেও সকালের আগে দাফনের ব্যবস্থা না থাকায় শেষ পর্যন্ত উত্তরায় নিজ এলাকায় দাফন করা হয় মরিয়মকে।

এর আগে ২০১৫ সালেও ঢাকা মেডিকেলে মৃত ঘোষণার পর দাফনের আগে এক নবজাতকের নড়ে ওঠার ঘটনা আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সেই শিশুটিকেও পরে হাসপাতালে ফিরিয়ে এনে চিকিৎসা দিয়েও বাঁচানো যায়নি।