কৃষিমন্ত্রী ড: মো: আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ, সার, বীজ, সেচসহ কৃষি উপকরণে ভর্তুকি প্রদান এবং ফসলের উন্নতজাত উদ্ভাবন ও চাষের ফলে দেশে কৃষিক্ষেত্রে ও খাদ্য উৎপাদনে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। ফলে এখন বাংলাদেশে কোনো মানুষ অনাহারে থাকে না, করোনাসহ শত দুর্যোগের মধ্যেও কেউ না খেয়ে থাকে না।
কৃষিমন্ত্রী আজ শুক্রবার ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (ডিকেআইবি) আয়োজিত ডিপ্লোমা কৃষিবিদ দিবস ২০২০-এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অনলাইনে এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের কৃষি উন্নয়নের সম্মুখসারির সৈনিক হলেন কৃষক। ডিপ্লোমা কৃষিবিদরাও তাঁদের মতোই সম্মুখসারির সৈনিক। দেশে কৃষির যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, সেখানে ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বড় অবদান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশের কৃষিবিদ এবং ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা একই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের সম্মান বাড়লে কৃষিবিদদের সম্মানও বাড়বে। যারা কৃষিবিদ এবং ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে চায়, ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের সম্মান দিতে চায় না, তারা সংকীর্ণ মানসিকতার। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার সব সময়ই কৃষি ও কৃষকবান্ধব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যেমন কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা দিয়েছিলেন, তেমনি তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দিয়েছেন। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের গেজেটেড পদমর্যাদা, পদোন্নতি, কাজের সুবিধার্থে মোটরসাইকেল প্রদানসহ বিভিন্ন দাবির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো: হামিদুর রহমান বলেন, দেশে কৃষির সার্বিক উন্নয়নে কৃষিবিদ এবং ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের আহ্বায়ক মো: গোলাম সারোয়ারের সভাপতিত্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড: আবদুল মুঈদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো: হামিদুর রহমান, কেআইবির মহাসচিব খায়রুল আলম প্রিন্স, ডিকেআইবির সদস্য সচিব মো: মিন্টু খান প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।