শিমুলিয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়

ঈদের আগেরদিন মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ভোর থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা দিয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের ঢল নেমেছে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়েই পদ্মা পারি দিচ্ছে মানুষ। আর ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার কথা থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। লঞ্চঘাটে পা রাখার জায়গা নেই। ঠিক একই অবস্থা ফেরিঘাটেও। গাদাগাদি করে মানুষ লঞ্চে ও ফেরিতে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি উধাও এখানে। স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব কোনোটাই মানা হচ্ছে না।

রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ পদ্মা পার হওয়ার জন্য শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে নিজ বাড়িতে যাচ্ছেন। পদ্মার প্রচন্ড স্রোতের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে এরুটে ছোট লঞ্চগুলো চলছে।

মুুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলা বাজার নৌরুটে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৬টি ফেরি এবং ৮৭ লঞ্চের মধ্যে ৮৬টি চলাচল করছে। প্রচন্ড স্রোতে সবগুলো ফেরি চলতে পারছে না। আর একটি লঞ্চের কাগজ আপডেট না থাকায় চলতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। দুইটি নতুন ফেরি যুক্ত করেও চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পদ্মায় স্রোত ও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিন-চার কিলোমিটার ঘুরে ফেরি চলাচল করছে। এতে সময় ও জ্বালানি তেল খরচ বেশি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঢাকা থেকে যাত্রী, যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন ও মোটরসাইকেল ঘাটে এসে অপেক্ষা করছে। সৃষ্টি হয়েছে শিমুলিয়া ঘাটে যানবহনের দীর্ঘ লাইন।

বিআইডব্লিউটিসির সহ-মহাব্যবস্থাপক আহম্মদ আলী জানান, উত্তাল পদ্ময় ফেরিগুলো চলতে সমস্যা হচ্ছে। একে তো সব ফেরি চলতে পারছে না অন্যদিকে ফেরিগুলোর যাওয়া আসায় সময় লাগছে বেশি। ফলে ফেরির ট্রিপ কমে যাচ্ছে। তাই ঘাটে গাড়ির চাপ বেড়েছে। শিমুলিয়া ঘটেই পণ্যবাহী ট্রাকসহ অর্ধসহস্রাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে।

লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন জানান, স্বাস্থ্যবিধি পালন ও হুড়োহুড়ি করে লঞ্চে ও ফেরিতে উঠতে গিয়ে কেউ দুর্ঘটনার শিকার না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।