খুন-ডাকাতিসহ অন্তত ১০টি মামলার আসামি আবু তাহের (৩৬)। ২০১৫ সালে ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় ট্যুরিস্ট পুলিশের কনস্টেবল পারভেজকে হত্যা করেন। তিন মাস আগে জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েই ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠেন পেশাদার অপরাধী বনে যাওয়া তাহের। সর্বশেষ গত ১৬ আগস্ট কক্সবাজার পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুর মোহাম্মদের ছেলে যুবরাজ শাহজাহান সেজানকে (২২) মাদক ব্যবসা ও সেবনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির জেরে কক্সবাজার বৌদ্ধবিহারের মাঠে খুন করেন আবু তাহের!
গতকাল মঙ্গলবার ভোরে সাভারের তেঁতুলঝোড়া এলাকা থেকে আবু তাহেরকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। দুপুরে মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ১৬ আগস্ট সকাল ১০টায় কক্সবাজার পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোহাম্মদের ছেলে শাহজাহান সেজান নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। কথা-কাটাকাটির জের ধরে কক্সবাজার বৌদ্ধবিহারের মাঠে আবু তাহের ভিকটিম শাহজাহান সেজানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ১৭ আগস্ট কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন। সিআইডি প্রাথমিকভাবে জানতে পারে, মাদক ব্যবসা ও সেবনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, সেজান হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবু তাহের তিনটি হত্যা, ডাকাতি, মাদক মামলাসহ ১০ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই ডাকাতির পর পালানোর সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের কনস্টবল পারভেজ হোসেনের বাধার মুখে পড়েন আবু তাহের। তখন তিনি কনস্টেবল পারভেজকে ছুরিকাঘাত করেন। আবু তাহের তিন মাস আগে ঐ খুনসহ ডাকাতি মামলায় জামিনে মুক্তি পান।
তিনি আরও বলেন, আসামি আবু তাহের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।