চিত্রনায়ক রিয়াজ আহমেদ। ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক। তিনি আসলেই বাংলার নায়ক। কারণ ক্যারিয়ারের শুরুতে এ নামটি দিয়েই তার পথ চলা শুরু। এরপর অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করেছেন মানসম্পন্ন একজন হিরো হিসেবে। সেই সুনাম আজও পিছু ছাড়েনি রিয়াজের। আজ ২৬ অক্টোবর, নায়ক রিয়াজের জন্মদিন।
১৯৭২ সালে ফরিদপুর জেলা সদরের কমলাপুর মহল্লায় রিয়াজের জন্ম। তার ছেলেবেলা কেটেছে ফরিদপুর শহরের সিএনবি স্টাফ কোয়ার্টার্সের চৌহদ্দিতে। বাবা জাইনুদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা, মা আরজুমান্দ আরা বেগম গৃহিণী। সাত ভাই-বোনের মধ্যে রিয়াজ সবার ছোট।
১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় রিয়াজ অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র বাংলার নায়ক। পরের বছর খ্যাতনামা চলচ্চিত্রকার দিলীপ বিশ্বাসের অজান্তে ও মোহাম্মদ হোসেনের প্রিয়জন সিনেমায় অভিনয় করেন। প্রিয়জন-ই একমাত্র চলচ্চিত্র যাতে রিয়াজ অকালপ্রয়াত সালমান শাহের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। শাবনূর ও পূর্ণিমার সঙ্গে জুটি বেঁধে সাফল্য পেয়েছেন রিয়াজ।
হুমায়ূন আহমেদের দুই দুয়ারী, এসএ হক অলিকের আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা ও হৃদয়ের কথা, মতিউর রহমান পানুর মনের মাঝে তুমি, সুচন্দার হাজার বছর ধরে, তৌকীর আহমেদের দারুচিনি দ্বীপ ও গাজী মাহবুবের প্রেমের তাজমহল, ওয়াজেদ আলী সুমনের সুইট হার্ট, মেহের আফরোজ শাওনের কৃষ্ণপক্ষসহ অসংখ্য জনপ্রিয় ও প্রশংসিত সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া তিনি সালমান শাহ এর পরে চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে সেরা জুটি। তার সঙ্গে অভিনয় করা উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে- মন মানে না, ভালোবাসি তোমাকে, প্রেমের তাজমহল, ও প্রিয়া তুমি কোথায়, হৃদয়ের বন্ধন ও মোল্লাবাড়ীর বউ। তারা ৪০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। রিয়াজ-শাবনূর জুটির সর্বশেষ চলচ্চিত্র শিরি ফরহাদ মুক্তি পায় ২০১৩ সালের ২২ মার্চ।
অন্যদিকে ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় রিয়াজ-পূর্ণিমা জুটি অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র এ জীবন তোমার আমার। এ জুটির অন্যান্য সফল চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে মনের মাঝে তুমি, হৃদয়ের কথা, শাস্তি ও আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা। তারা ৩০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
এছাড়াও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। শুধু সিনেমাতেই নয়, নাটকেও বেশ জনপ্রিয় রিয়াজ। বর্তমানে বড় পর্দার চেয়ে ছোট পর্দায়ই বেশি দেখা যায় এই তারকাকে।